
স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫টি হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। উপত্যকাটির সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলা চালানো হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে- গাজা সিটির আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স, আল-আহলি হাসপাতাল, আল-কুদস হাসপাতাল, আল হায়াত স্পেশালাইজড হাসপাতাল, আল হেলু হাসপাতাল, আল-কারামা হাসপাতাল, দ্য পেশেন্ট’স ফ্রেন্ডস হাসপাতাল, পাবলিক সার্ভিস হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল আই হাসপাতাল, সেন্ট জন আই হাসপাতাল, আস-সাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্স, হামাদ হাসপাতাল, হাইফা হাসপাতাল, আল-ওয়াফা হাসপাতাল, আল-মাহদি মাতৃসদন হাসপাতাল, ইমিরাতি হাসপাতাল ও তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল।
উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল, বেইত হানুন হাসপাতাল, আল-আওদা হাসপাতাল, সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল, আল-রান্তিসি শিশু হাসপাতাল, আল-নাসর শিশু হাসপাতাল, মোহাম্মদ আল-দুররাহ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল, হ্যাপি আল-ইয়েমেন হাসপাতাল, মুসলিম স্পেশালিস্ট হাসপাতাল ও জর্দান ফিল্ড হাসপাতাল।
আরও রয়েছে— মধ্য গাজার জাফা হাসপাতাল, দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলের মোহাম্মদ ইউসুফ আল-নাজার হাসপাতাল, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স আলজেরিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল দার আস সালাম হাসপাতাল ও আল-আমাল হাসপাতাল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এসব হাসপাতালে হামলার ফলে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, বিদ্যুৎ সংকট এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চরম বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এদিকে, আজও (রোবববার) গাজার আল-আহলি আরব ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে হাসপাতালটির জরুরি ও অভ্যর্থনা বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অন্যান্য কাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হামলার পরপরই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোগীদের ভবন থেকে সরিয়ে নেন।