
মোহাম্মদ হোসেন সুমন:
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো এক প্রাণবন্ত ও বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…” গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই উৎসবের মূল পর্ব, যা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র লাবণী পয়েন্ট উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির শুরুতেই ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ হাজারো মানুষ। রঙিন পোশাকে, মুখে হাসি আর প্রাণে নতুন বছরের উত্তেজনা নিয়ে সবাই মিলিত হন এই অনবদ্য আয়োজনে।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে লাবণী পয়েন্টে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া মূল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলা সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা যেন প্রতিটি বছরকে নতুন করে শুরু করতে পারি, সেটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব নাজিমউদ্দীন, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফউদ্দীন শাহীন, বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।
সাংস্কৃতিক পর্বে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিল্পী পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য ও আবৃত্তি। এতে বৈশাখী আমেজে ভরে ওঠে গোটা শহর। নববর্ষের এই আয়োজনে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে বলেন, “এ ধরনের আয়োজন আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।”
নতুন বছর যেন বয়ে আনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি—এই কামনায় শেষ হয় কক্সবাজারবাসীর বৈশাখী উৎসব।