উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে যুদ্ধ যেনো রাস্তায়, দুর্ভোগে সব শ্রেণির মানুষ

মো: শিবলুর রহমান, আজমিরীগঞ্জ:

লাল মিয়া বাজার টু বিরাট সড়ক যেন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে নতুন পুরাতন গাড়ি। ঝুঁকি আর দুর্ভোগ এ সড়কে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষের নিত্যসঙ্গী। লালমিয়া বাজার টু বিরাট গ্রাম প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এতে চরম ভোগান্তি আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সড়কটিতে চলাচল করছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। সড়কের অবস্থা যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।উপজেলার গুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা উপজেলা পরিষদের কাজে ও মানুষের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা আদায়ের জন্যে উপজেলা হাসপাতালে যাওয়ার প্রধান একমাত্র রাস্তা ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী সিএনজি, ইজিবাইক ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, পিকআপ, মোটর সাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত গাড়ি চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিকল সড়কটির বিভিন্ন অংশের গর্ত বেড়ে সড়কটি এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে বৃষ্টিতে আরও বাড়বে সড়কের ভাঙন। এতে চরম ভোগান্তি বাড়বে হাজারো মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালমিয়া বাজার টু বিরাট পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অংশে বেহালদশার কারনে মানুষের চলাচলের অনিহা প্রায়। রাস্তার এ কারণে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার মানুষ,রুগী ও সবধরণের পরিবহন।

এস এস সি এক পরীক্ষার্থী জানান “আমাদের পরীক্ষার সেন্টার এ বি সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় ,সময় মত গাড়ী পাওয়া যায় না ,পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় এই রাস্তার গর্ত ও বেহাল দশার কারণে , দূর্ঘটনা ও অসুস্থ হওয়ার ভয় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয় ,প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানান যেনো রাস্তাটি মেরামত করা হয় |
সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন ,”গত দুই দিন আগে ডেলিভারি সমস্যা নিয়ে আমি আমার স্ত্রী কি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে গেলে ভয়ংকর এই রাস্তা আমার রুগীর অবস্থা ভয়াবহ খারাপ হয়ে পড়ে ,অবস্থা খারাপের জন্যে জেলা হাসপাতালে যেতে হয়েছে |

মিন্টু মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি জানান প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। আজিমনগর পৌর এলাকার ও নগর গ্রামের ,সমীপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে সড়কটির যে বেহাল দশা তাতে রিকশা, সিএনজি বা যেকোনো পরিবহনে উঠতেই ভয় হয়। কখন কোথায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি জরুরি মুহূর্তে কোন রোগী নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হলে অনেক সময় সড়কের এমন দশায় পরিবহন মেলানো দায় হয়ে পড়ে। পরিবহন পাওয়া গেলেও এমন বেহাল রাস্তায় রুগীর অবস্থা আরো মুমূর্ষ হয়ে পড়ে।

সিএনজি চালক শহীদ মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা শহরে যাওয়া আসা করতে হয় আমাদের। দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের গর্তের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয় বেশী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টেলা গাড়ি শ্রমিক কান্নাজনিত গলায় বলেন জীবিকার তাগিদে মালামাল নিয়ে এই রাস্তাতে আসা হয় কিন্তু রাস্তায় এই বেহাল দশার জন্যে শারীরিক পরিশ্রম কয়েকগুণ বেশি হয়ে পড়ে ,দিন শেষে বাড়িতে গেলে সারাশরীরে ব্যাথার জন্যে ওষুধ কিনে খেতে হয় ।
এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *