আব্দুর রহিম জয়:
বগুড়ার কাহালুতে জোর জবরদখল করে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ভালতা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক (৫৫) পিতা মৃত ইয়াসিন আলী মল্লিক এবং রাসেল আলী মল্লিক (২৮) পিতা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক এর বিরুদ্ধে। উভয়ের সাং ভালতা, মুরইল ইউপি, কাহালু থানা বগুড়া। বাড়ির নির্মাণ বন্ধ ও জমি ফিরে পেতে কাহালু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কবির মল্লিক।
কবির মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, ১নং বিবাদী আমার চাচা ও ২নং বিবাদী চাচাতো ভাই আমার ক্রয়কৃত (০৮) আট শতাংশ জায়গা, যার খতিয়ান নং ১৫৩। বিবাদী গণেরা জোরপূর্বক জবরদখল করার পাঁয়তারা করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার মোকাদ্দমা নং- ৬২২পি/২০২৪ (কাহালু) ও প্রসেস নং-১৮৪০,তারিখ ০৬-১১-২০২৪ ইং, ধারা ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৪৪/১৪৫। উক্ত মামলা করার প্রেক্ষিতে কোট উভয়পক্ষকে উক্ত জায়গায় খুঁটি/মাপযোগ/সংস্কার করিতে নিষেধ করে। কিন্তু বিবাদী’দ্বয় কোর্টের আদেশ অমান্য করে গত ০৬-০২-২০২৫ ইং ও ১৩-০২-২০২৫ ইং তারিখে বিবাদী গণেরা উক্ত জায়গা জবরদখলের জন্য আমার প্রদানকৃত বেড়া তুলে ফেলে। ০৮-০৪-২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক সকাল ১১.০০ টার সময় বিবাদী দ্বয়েরা জোরপূর্বক উক্ত জায়গার উপরে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ভীত খনন করিতে থাকে, আমি বিবাদী’ দ্বয়ের বাড়ির ভীত খনন করিতে নিষেধ করিলে বিবাদী’ গণেরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইদ্রিস মল্লিক (৫০) পিতা মৃত ইয়াসিন মল্লিক এবং মোছাঃ বেদেনা বেগম (৪৫) স্বামী মোঃ মোস্তফা মল্লিক, উভয়ের সাং ভালতা, মুরইল ইউপিঃ থানা কাহালু, জেলা বগুড়া দ্বয়’ সহ আরো অনেকে ঘটনাটি জানে। আমি বিবাদী’ দ্বয়ের সহিত ঝগড়া বিবাদে না জড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করিয়া উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
ভুক্তভোগী আরো জানান ‘ এ ঘটনাটি নিয়ে ৯৯৯ ফোন দেয়া হয়েছিল কিন্তু আশানুরূপ কোন ফলাফল পাইনি এবং থানার এস আই বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলেও ঘটনাস্থলে তিনি আসেন নি।
এ বিষয়ে কাহালু থানার এ এস আই জাহিদ জানান, বাদী কবির মল্লিক একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন’ তার ক্রয় কৃত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবাদী কে ঐ জায়গায় বাড়ি নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিষয়টি তারা গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।