লক্ষন পাল:
সাবেক সভাপতি নাজের আহমদ ভুয়া কমিটি করে প্রতারণা করছেন।
গত ১৭ এপ্রিল ২০২৫ বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রেজি: নং: ১৫৯৫ এর কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরী সভায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ এবিএম সফিউল আলম বুলুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বেপারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তারা বলেন আমাদের সাবেক সভাপতি নাজির আহমেদ কেরানী ২০২২ সালে নির্বাচিত হইবার পর কেন্দ্রীয় কমিটির কোন সাংগঠনিক মিটিং এ উপস্থিত হন নাই। নৌ মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, নৌ অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ, কার্যালয়ে অসংখ্য মিটিং এর নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও সে কোন মিটিং এ উপস্থিত হন নাই। বিভিন্ন ঘাটে বন্দরে জেলার নৌ শ্রমিক সমাবেশে উপস্থিত হন নাই, বিধায় শ্রমিকদের এবং ফেডারেশনের অপুরনীয় সাংগঠনিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে নাজির আহমেদ কেরানীকে কয়েকটি নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করে শেষ পর্যন্ত একটি সাধাারণ সভার মাধ্যমে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শ্রম আইন অনুযায়ী সবার সম্মতিতে ২১ জানুয়ারী ২০২৪ সালে তাহাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঐ মিটিং এ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মিটিং এ অংশ গ্রহণ করা’সহ সভাপতি এবিএম সফিউল আলম (বুলু) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয় অর্থাৎ ২১ এপ্রিল ২০২৪ হইতে নাজির আহমেদ কেরানী সভাপতির দায়িত্বে নাই। বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে এবিএম সফিউল আলম বুলু।
কিন্তু হঠাৎ কয়েকদিন আগে এই সাবেক সভাপতি নাজির আহমেদ নৌযান শ্রমিকলীগ এর সভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক লীগ এর অন্তর্ভূক্ত ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের আনিসুর রহমান সহ বহিরাগতদের নিয়ে একটি ভূয়া কমিটি সাজিয়ে সমাজে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে এবং সুমন সহ অন্যান্যদের দিয়ে ফেইসবুকে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, মার্কার চাঁদাবাজি ও অভিযোগ উপস্থাপন নৌ ডাকাতদের সহযোগিতার ইত্যাদি অথচ নৌ ডাকাত ও নৌ খুনিদের ধরার ব্যাপারে পুলিশকে সহযোগিতা করায় ফতুল্লা থানা পুলিশ নাঃগঞ্জ জেলা পুলিশ ও নৌ মন্ত্রণালয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমসহ সকল নেতৃবৃন্দকে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ক্রেষ্ট উপহার দিয়েছে। কাজেই উল্লেখিতদের ষড়যন্ত্রমূলক অশুভ কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোড়দাবী জানাচ্ছি।