চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন ত্রি হুইলার, দেখার যেন কেউ নেই

কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে কেরানী হাট নামক  এই স্টেশনে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন ত্রি হুইলার । যার ফলে ছোট–বড় দুর্ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি হচ্ছে বিদ্যুতের অপচয়। এছাড়া মহাসড়কস্থ কেরানী হাট  স্টেশনে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট এই বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও  যাত্রীদের মন্তব্য বিজি ট্রাস্ট থেকে চুনতীর শেষ মাথা পযন্ত  বিশাল এলাকা এই এলাকায় রয়েছে ৪/৫ টা স্টেশন এই স্টেশন গুলো পরিচন্ন ও যানযট ও দুর্ঘটনা  মুক্ত রাখতে  রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে সাহসী চৌকস পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবল। প্রায় সময় দোহাজারী হাইওয়ে থানা মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান চলাচল বন্ধের জন্য কয়েক দফা মাইকিং করে  কিন্তু কয়েকটি স্টেশন পরিষ্কার থাকলেও কেরানী হাট দিনরাত যানজটের পাশাপাশি অপরিষ্কার দেখা যায়  গরুর বাজার থেকে হাসমতের দোকান পযন্ত ট্রাফিক জোনের অধীনে এই সামান্য এলাকাটি যানযট মুক্ত রাখতে পারেনা ট্রাফিক পুলিশ ।
কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ  এসব যানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি ট্রাফিক পুলিশ কে। অনেকে বলেন অবৈধ যানবাহন গুলো ট্রাফিক পুলিশের মাসিক দিতে দেরি করলে টুকটাক মামলা দিতে দেখা যায় আবার যদি মাসিক আদায় হয় ট্রাফিক পুলিশ কোথায় উধাও হয়ে যায় ।
এই বিষয়ে আরও  জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আইনে নিষিদ্ধ হলেও সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেরানী হাটে দাপটের সাথে  চলছে সিএনজি টেক্সি, ব্যাটারি রিকশা, টমটম, মালবাহী নসিমন ও লেগুনা। এই মহাসড়কে স্বল্প দূরত্বে চলাচলের গণপরিবহন না থাকায় এসব নিষিদ্ধ যানবাহন ব্যবহার করেন যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কিছু দালাল চক্র টোকেন দিয়ে কেরানী হাটে এসব নিষিদ্ধ যান চলাচল করছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। ২০২০ সনের ২১ মার্চ মহাসড়কে লোহাগাড়া  উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় লেগুনার ১৫ যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিল। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল মহাসড়কে আমিরাবাদ ইউনিয়নের বার আউলিয়া কলেজের সামনে বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি টেক্সির ৫ যাত্রী আহত হন আর চুনতী জাঙ্গালিয়া থেকে বিজি ট্রাস্ট পযন্ত বিশাল এলাকা এই এলাকায় ডিউটি করতে ৩টা গাড়ির দরকার শুধু তাই নয় হাইওয়ে থানায় লোকবল ও কম এই অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের কিছু করার নাই বলে মন্তব্য করেন অনেকে ।
গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই মহাসড়কে দাপটের সাথে অবাধে চলাচল করছে নিষিদ্ধ যান সিএনজি চালিত টেক্সি, ব্যাটারি চালিত রিকশা, টমটম, মালবাহী ভ্যান, নসিমন ও লেগুনা। স্বল্প দূরত্বের জন্য মহাসড়কে সহজলভ্য যান হিসেবে এসব নিষিদ্ধ যান বেশ জনপ্রিয়। পরিবহন স্বল্পতায় অনেকটা বাধ্য হয়ে এসব যানে চলাচল করছে যাত্রীরা। আর এতে অকালে মহাসড়কে ঝরে যাচ্ছে প্রাণ। এসব নিষিদ্ধ যানের কারণে সাতকানিয়া  উপজেলা সদর কেরানী হাট ও রাস্তার মাথা পযন্ত একটা   স্টেশন,  প্রতিনিয়ত এই স্টেশনে  যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়সহ দূরপাল্লার যাত্রীদের। এসব নিষিদ্ধ যানের অধিকাংশ চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, এমনিতেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন চাকার এসব গাড়ি চলাচল করছে। এরমধ্যে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অন্য যানবাহনের সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে, অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে যান থেকে ছিটকে পড়ে অধিকাংশ যাত্রী আহত হন। কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কেরানী হাট স্টেশনে তিন চাকার নিষিদ্ধ যান রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আপনারা ছবিতে দেখতে পাবেন ট্রাফিক বক্স কে সিএনজি ও অটোরিকশার স্টেশন হিসেবে গড়ে উঠেছে এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজি চালক বলেন আমাদের থেকে মাসিক চাড়া ও  প্রতিদিন মোটা অংকের অর্থ আদায় করেন ট্রাফিক পুলিশের দালাল এরা  ।তাই এসব নিষিদ্ধ যানের চালকরা কোন নিয়মের ধার ধারেন না। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর কিছুদিন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার সুযোগে বেপরোয়াভাবে তিন চাকার নিষিদ্ধ গাড়ি কেরানী হাট এলাকায়  চলাচল শুরু করে। এরপর থেকে এসব যানের লাগাম ধরা হয়নি। ফলে কেরানী হাটে নিষিদ্ধ যান আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
সিরাজুল ইসলামসহ একাধিক দূরপাল্লার গাড়ি চালক জানান, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এতে গাড়ি চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়ক থেকে বিভিন্ন স্থানে সামনে–পেছনে না দেখে হঠাৎ এসব যান মহাসড়কের উঠে পড়ে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের চালকেরা অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারান। এসব যানের কারণে ঘন ঘন ব্রেক কষতে হয়। মহাসড়ক সংলগ্ন প্রতিটি স্টেশনে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় এসব নিষিদ্ধ যান মহাসড়কে চলার মধ্যে হঠাৎ মোড় নিতেও দেখা যায়।
 মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু কেরানী হাটে মহাসড়কে দাপটের সাথে চলছে আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি সংখ্যক এসব নিষিদ্ধ যান। যার ফলে প্রতিনিয়ত কেরানী হাটে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে । নিষিদ্ধ এসব যান মহাসড়কে চলাচল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান বড় বাস চালকেরা।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, মহাসড়কে চলাচলকারী নিষিদ্ধ তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উনার কথার সাথে এক মত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল এবং আরকান সমিতি আরকান সমিতির নেতারা বলেন সিএনজি চালকদের এত সাহস তারা কেরানী হাট ট্রাফিক পুলিশ বক্স কে স্টেশন  বানিয়ে ফেলেছে  অন্যদিকে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ আসছে শুনে সিএনজি ও অবৈধ গাড়ি গুলো কে কোন দিকে পালাবে পথ পাইনা  এতে করে বুঝতে পারেন ট্রাফিক পুলিশের সাথে অবৈধ গাড়ি গুলোর কত মধুর সম্পর্ক রয়েছে ।
হাইওয়ে পুলিশের  জনবল সংকটের মধ্যেও প্রতিদিন হাইওয়ে পুলিশ  ৪–৫টি যানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এই বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং জনসাধারণ একমত প্রকাশ করে । এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য টোকেন বাণিজ্যির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা  বলেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *