স্টাফ রিপোর্টার:
কক্সবাজার, বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী। সমুদ্র, সূর্যাস্ত আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই শহরের কলাতলী কটেজ জোনে আজকাল পর্যটকের চেয়ে অপরাধীর আনাগোনা বেশি চোখে পড়ছে।
সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, “স্পা সেন্টার” নামধারী একাধিক প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠেছে অসামাজিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের আস্তানা। এসব প্রতিষ্ঠানে চলছে যৌনপল্লী, মাদক সেবন, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। ভয়ঙ্কর তথ্য হলো—এইসব কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গা নারীদেরও জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এইসব অপরাধের শিকার হচ্ছেন নারী, শিশু ও সাধারণ পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা এই স্পা সেন্টারগুলো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বীচ আইল্যান্ডিয়া হোটেল, হোটেল আলফা ওয়ে, হোটেল দেলোয়ার প্রপার্টিসহ অন্তত ৩০-৪০টি হোটেল-রিসোর্টে এসব স্পা সেন্টার চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার মদদ রয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। নিয়মিত মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে এসব কর্মকাণ্ড চলে আসছে বছরের পর বছর।
যদিও জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একাধিকবার এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে, তথাপি আইনের ফাঁকফোকর আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা ভবিষ্যতে এই শিল্পকে চরম সংকটে ফেলতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কক্সবাজারের ভাবমূর্তি রক্ষায় দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পর্যটন শহরটি অপরাধের নগরীতে পরিণত হতে সময় লাগবে না।
এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং সুষ্ঠু তদন্ত এখন সময়ের দাবি।