নীলফামারীর আওয়ামীলীগের হাজী ফারুক এখন জামায়াতের ছায়াতলে

স্টাফ রিপোর্টার:

দীর্ঘ ১৭ বছর নামে বেনামে দু-হাত ভরে আওয়ামীলীগের রাঘববোয়াল সানিতা সিরামিক এর চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম ফারুক ওরফে হাজী ফারুক যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই কামিয়েছেন অঢেল সম্পদ, গড়েছেন সম্পদের পাহার। ঠিক একই কায়দায় এখন জামায়তের ছায়াতলে থেকে কামাচ্ছেন এই হাজী ফারুক। ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর পর আওয়ামীলীগের বড় বড় ব্যাবসায়ী গং পালিয়েছেন। কিছু ব্যবসায়ী রয়েছেন আত্মগোপনে । ওথচ  সানিতা সিরামিক এর চেয়ারম্যান হাজী ফারুক ব্যবসা করছেন আগের মতোই।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পল্টিবাজ এই হাজী ফারুক জীবনের প্রথমে যুক্ত ছিলেন জামায়তে ইসলামের রাজনীতির সাথে।

কিন্তু যখন বুঝতে পারেন এই দলে থেকে অনৈতিক ভাবে কোনো সম্পদ অর্জন করা যাবে না বা বিলাসবহুল জীবন যাপন করা যাবে না তক্ষুনি রাজনৈতিক ভাবে পল্টি নিয়ে বনে যান আওয়ামীলীগের ডোনার। আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েই পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ।

মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন, তৎকালীন নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামালকে। কামাল সহ স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মাধ্যমে গড়ে তুলেন বিশাল সিন্ডিকেট। যার মাধ্যমে অল্প দিনেই  গড়ে তুলেন সানিতা সিরামিক সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান, গাড়ি-বাড়ি ও বাংলও সহ নামে বেনামে অঢেল সম্পদ।

যখন বুঝতে পারেন তার আরও সম্পদের প্রয়োজন তখন তিনি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন তৎকালীন সাংস্কৃতিক মন্ত্রী নীলফামারী ২ এর এমপি আসাদুজ্জামান নূরকে এবং বনে যান আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি। তার মাধ্যমে গড়ে তুলেন সারাদেশে বিশাল এক সিন্ডিকেট। যার মাধ্যমে বৈধ-অবৈধ এক চেটিয়া ব্যবসা করেন সারাদেশে। আসাদুজ্জামান নূরের ঘনিষ্ঠ জন হওয়ায় দুদক, ইনকাম টেক্স ও দেশের আইন-আদালত কাউকেই তোয়াক্কা করতেন না ।

অত:পর আসাদুজ্জামান নূরের মাধ্যমে যুক্ত হন সরাসরি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সঙ্গে। শুরু করেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ। এবং  আসাদুজ্জামান নূরের  ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি হওয়ায় পৌছে যান তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত এবং বনে যান কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের ডোনার।

এবং সে সময় হাজী ফারুকের বড় ছেলে সামিউল ইসলাম শাওন হয়ে যান বেপরোয়া গড়ে তুলেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। এবং শুরু করেন বৈধ-অবৈধ ব্যাবসা যার মধ্যে অন্যতম রেডিও একটিভ মেটেরিয়াল (রেডিয়াম) এর ব্যবসা যা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অবৈধ।

২০১৯ সালে তৎকালীন সময়ের প্রসাশনকে ম্যানেজ করে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার রেডিও একটিভ মেটেরিয়াল (রেডিয়াম) বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া পাচারের সময় সামিউল ইসলাম তার সঙ্গি সহ আটক হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল হলদিবাড়ি থানা। ওই সময় ইন্ডিয়ার পত্রিকা যার নাম দি ওয়াল এবং বাংলাদেশ পোস্টে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অন্য কোনো পত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যম সাহস করেননি এই প্রতিবেদন ছাপানোর।

এবং প্রায় তিন বছর জেল খেটে ২০২২ সালে তৎকালীন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যস্থতায় জামিন পান। এবং এখানেও চলে টাকার খেলা।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা পালিয়ে গেলেও পল্টিবাজ হাজী ফারুক এখন আবার বনে যেতে চাচ্ছেন জামায়াত নেতা।

জামায়াতের মতো একটি আদর্শিক দলে হাজী ফারুক মতো আদর্শহীন পল্টিবাজ দেশদ্রোহীর জায়গা হবে না এই আশা স্থানীয় বাসিন্দাদের। জানা যায়, তারজায়,বিরুদ্ধে দুদক, কাস্টম, ইনকাম টেক্স এ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন এত কিছূর পরেও প্রসাশন কেন নিশ্চুপ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *