
আব্দুর রশিদ:
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের শামীম হোসেনের (২৮) স্ত্রী আসমনি খাতুন (২৫) অভাবের তাড়নায় বিশ হাজার টাকায় নিজের সন্তানকে বিক্রি করে। শামীমের বহু বিবাহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্তান বিক্রির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাওয়ায় দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকায় ২১ এপ্রিল সোমবার তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি স্থানীয় ও পুলিশ প্রশাসনের ঢালাওভাবে নজরে আসে।
বিক্রিত শিশু কন্যা খাদিজা খাতুনকে উদ্ধারে জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে আশাশুনি পুলিশ প্রশাসন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল আরেফিন জরুরী ভিত্তিতে তদন্তভার দিয়ে এসআই ফয়সাল হোসেনকে তেঁতুলিয়া গ্রামের চা বিক্রেতা রবিউলের বাড়িতে খাদিজা খাতুনের খোঁজ খবর নিতে পাঠান। ফয়সাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান – খাদিজা খাতুন এখন সুস্থ আছেন।
পাশাপাশি তিনি খাদিজার মা আসমনি এবং পিতা শামীম হোসেনকে খুঁজে বের করতে দ্রুত ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । চাঞ্চল্যকর এই খবর প্রকাশের পর দৈনিক প্রথম আলোর সাতক্ষীরা জেলার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, যমুনা টেলিভিশনের আকরামুল হোসেন এবং আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসান দৈনিক সাতনদীর ইষ্টাফ রিপোটার মোঃ রবিউল ইসলাম দৈনিক ভোরের চেতনার সাতক্ষীর জেলা ক্রাইম রিপোার আব্দুর রশিদ সহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা খাদিজা খাতুনের খোঁজ খবর নিতে তেঁতুলিয়া গ্রামের চা বিক্রেতা রবিউলের বাড়িতে পরিদর্শন করেন বলে স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।