ঘাটাইল উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসকারী পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কারখানা তৈরি করেছে কথিত নেতা লিটন ভূঁইয়া

মোঃ ওয়াহিদ হোসেন: 

দীর্ঘ ১৭ বছর যাবদ দেশের মানুষকে জিম্মি করে ড়্গমতার রানী ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের কাছে তুলে দিয়েছিল। যারাই প্রতিবাদ করতো তাদের নেওয়া হতো আয়না ঘরে। গুম করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। বিএনপি-জামায়াত  ও বাকি দলগুলোর নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলখানায় বন্ধি করে রেখেছেন। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দলনের ফলে পালিয়ে যায় হাসিনাসহ তার দোসররা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার আহ্বান বাংলাদেশে আর থাকবে না কোনো অন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতি।

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের বার বার সতর্ক করে বলেছেন, যে দলের মধ্যে কেউ কোনো অনিয়ম করলে দল থেখে বহিষ্কার করা হবে। বেশির ভাগ নেতাকর্মী  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভালো কাজ করলেও কিছু অসাধু নেতাকর্মী আওয়ামী দোসরদের কাছে টাকার বিনিময়ে নিজেদের বিক্রি করেছেন। যার কারনে বিএরপির নামে বদনাম ছড়াচ্ছে।

যখনই বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে কোনো নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের খবর আসে তখনই প্রমান সাপেড়্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নে কথিত বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসকারী পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কারখানা তৈরি করছে লিটন ভূঁইয়া। এ বিষয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী বলছে ড়্গমতায় না এসেই যদি লিটন ভূঁইয়া এসব অপকর্ম করে তাহলে তার দল ড়্গমতায় আসলে সে কি করবে? এ বিষয় প্রতিবাদ করেছেন সাগরদিঘী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম। কিন্তু তার প্রতিবাদ উপেড়্গা করে সাগরদিঘী ইউনিয়নে লিটন ভূঁইয়া চালাচ্ছেন নানান অপকর্ম। ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের  আশেপাশে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কারখানা চলছে।

কারখানার দূষিত ধোয়ায় আশেপাশের এলাকা সহ ধ্বংসের মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীব ও বৈচিত্র। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার শ্রমিকেরা কেউ কেউ ব্যাটারির খোল ছাড়িয়ে প্লেট বের করছে আবার কেউ কেউ ব্যাটারির সেই প্লেট চুল্লির মুখে সাজাচ্ছে। আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকা বাড়ি-ঘর না থাকায় তেমন কোন সমস্যা না হলেও সিসা থেকে নির্গত কালো ধোয়া পরিবেশের পাশাপাশি, শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সাগরদিঘী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন রাতে চুল্লিতে কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারি প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি হয়। এতে ব্যাপক ধোয়ার সৃষ্টি হয়। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। সিসা কারখানায় কাজ করলে তাদের কোন সমস্যা হয় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, বিগত ১০ বছর যাবৎ কাজ করতাছে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না।

যদি কোন সমস্যা হতো তাহলে তো আর কেউ এই কাজ করতো না। কারখানা মালিক লিটন ভূঁইয়া বলেন, আমি ৫ই আগস্টের পর থেকে এই ব্যবসা করে আসছি। এর মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান এর সুযোগ তৈরী হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাটারি থেকে সিসা বের করে স্থানীয় ব্যাটারী কম্পানিতে কাচাঁমাল হিসেবে সরবরাহ করি। এতে করে সিসার পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে বিদেশ থেকে সিসা আমদানী করতে হচ্ছে না।

এতে আমাদের বৈদেশীক মুদ্রার সশ্রয় হচ্ছে।  ঘাটাইল উপজেলার সহকারি কমিশনার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে এই প্রথম জানলাম, অবৈধ কারখানার গুলোর বিষয়ে, অতি দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করা হবে। বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা প্রসাশক ও জেলা প্রসাশকের কাছে তদšত্ম সাপেড়্গ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *