প্রভাস চক্রবর্ত্তী:
চট্টগ্রামে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিততে ঐতিহ্যবাহী ও বৈশাখী মেলা ২৫এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেদিয়ে সূচনা হয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
এ মেলাঘিরে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে লালদীঘি মাঠে আয়োজিত বলীখেলা ও আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে বসা বৈশাখী মেলায় লোকজন আসা শুরু করে।
বেলা বাড়তেই বিকেলে মানুষের সমাগম ঘটে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে লালদিঘী মাঠে বলীখেলা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনের সূচনা হয়।
নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এই খেলার উদ্বোধন করেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় তীব্র রোদের মধ্যে বলীরা একে অপরকে হারাতে মাঠে নামে।
বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সদস্যসচিব ও আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, এবার বলীখেলায় ১২০ জন নিবন্ধন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮০ জনকে বাছাই করে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এই ৮০ জনের মধ্য জয়ী ৪০ জন পুরস্কৃত হবেন। গতবারের শীর্ষ চারজন ও নতুন চারজন চ্যালেঞ্জ রাউন্ডে খেলবেন। তাঁদের মধ্যে চারজন সেমিফাইনালে খেলবেন।
খেলা শেষে জয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রাম শহরের বদর পাতির ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে এই অঞ্চলের যুবকদের শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে ১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আয়োজন করেন কুস্তি, যা বলীখেলা নামে পরিচিত।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে জব্বারের বলীখেলা হয় প্রতিবছর। এবার বলীখেলার ১১৬তম আসর। বলীখেলা ঘিরে প্রতিবারের মতো তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা বসে থাকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। এ বৈশাখী মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন চট্টগ্রামবাসী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা নানা ধরনের পণ্য নিয়ে আসেন এ মেলায়।
বলীখেলা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বসেছে বৈশাখী মেলা। লালদীঘি মাঠের আশপাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই মেলা বসছে। মাটির তৈরি তৈজসপত্র, খেলনা, ফুলদানি, পুতুল, বেত-কাঠ ও বাঁশের তৈরি আসবাব, হাতপাখা, মাছ ধরার পলো, বেতের তৈরি ডালা, কুলো, ফলদ ও বনজ গাছের চারা, ফুল গাছের চারা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, মাদুর, চুড়ি, প্রসাধনী সামগ্রী, দা-বঁটি, ছুরিসহ প্রায় সব পণ্যই পাওয়া যায় এ মেলায়।