কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধ নির্মাণকাজ স্থগিতের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: 

 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা সুগন্ধা পয়েন্টে চলমান একটি নির্মাণকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই প্রকল্পটি সচ্চিতানন্দ সেন নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং স্থানীয় অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। এ নির্দেশনা এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রবল ক্ষোভ এবং পরিবেশবাদীদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে।

পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কা

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নির্মাণকাজের মাধ্যমে সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্রের সাথে মানুষের সরাসরি সংযোগ হ্রাস পাবে এবং প্রাণবৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, নির্মাণের জন্য কোনো বৈধ অনুমতি সংগ্রহ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট নাগরিকরা।

কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর মতে, এমন অবৈধ উন্নয়ন কার্যক্রম কক্সবাজারের মতো একটি বিশ্বখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তারা অবিলম্বে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নির্মাণ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা দ্রুত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের দাবি, প্রকল্পটি পরিকল্পিতভাবে ও পরিবেশ সম্মতভাবে বাস্তবায়িত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশনা

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, প্রকল্পটি যতদিন না পর্যন্ত সব ধরনের পরিবেশগত ও আইনি অনুমোদন লাভ করে এবং জনস্বার্থে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়, ততদিন নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ স্থগিত থাকবে।

এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সচ্চিতানন্দ সেন বা তার প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সামগ্রিক প্রেক্ষাপট

সুন্দর কক্সবাজার সৈকত রক্ষার দাবিতে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। সুগন্ধা পয়েন্টসহ সৈকতের বিভিন্ন অঞ্চলে অপরিকল্পিত নির্মাণ প্রকল্পের কারণে ইতিমধ্যেই পরিবেশগত ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে অনেকেই সমুদ্র সৈকত সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *