বগুড়ায় কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আব্দুর রহিম জয়: 

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন কিশোরীর বাবা জিল্লুর রহমান।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, আমি মোঃ জিল্লুর রহমান (৪৮), জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৯৫৭৩৭৩৯৯৯৩, পিতা-আলহাজ্ব আহম্মাদ আলী, সাং-গুজিয়া, ইউপি-শিবগঞ্জ, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া। থানায় হাজির হয়ে আসামী ১। মোঃ অনিক হাসান (২০), পিতা-মোঃ আবুল কালাম প্রাং, ২। মোঃ নাহিদ হাসান (১৯), পিতা-মোঃ হারুন এাং, উভয়ের সাং-গুজিয়া, ৩। মোঃ রাকিব মিয়া (২২), পিতা-মোঃ কদবেল, সাং-অভিরামপুর মন্ডলপাড়া, ৪। মোঃ কাছেম (৪২) পিতা-মৃত উমুর আলী, ৫। মোঃ রিয়াদ হোসেন (১৯), পিতা-মোঃ মেহেদুল ইসলাম, উভয়ের সাং-গুজিয়া, ৬। মোঃ আঃ গোফফার (৪৫), পিতা-মৃত মোশারফ আকন্দ, সাং-চক গোপাল, সকলের থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া গণের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছি।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে মোছাঃ নাদিয়া আক্তার (১৫), সে শিবগঞ্জ থানাধীন গুজিয়া কনফিডেন্স পাবলিক স্কুলে ১০ শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে ১নং আসামী আমার মেয়ে কে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন সময়ে প্রেম নিবেদন ও কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাদের জানালে আমি ১নং আসামী কে আমার মেয়ে কে বিরক্ত অরিতে নিষেধ করিলে ১নং আসামী কিছু দিন ভালো থাকে। অতপর পুনরায় ১নং আসামী আমার মেয়ে কে রাস্তা ঘাটে প্রেম নিবেদন ও কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। আমার মেয়ে ১নং আসামীর কু-প্রস্তাবে রাজি না হইলে ১নং আসামী আমার মেয়ে কে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদান করিতে থাকে। একপর্যায়ে ৩০/০৩/২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.৩৫ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে নিজ বাড়ী হইতে তাহার জেষ্ঠ্যাতো বোন মোহাঃ সাদিয়া আক্তার আমিনার বিবাহের কর্সমেটিক্স গুজিয়া বাজার হইতে ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুঃ ০৬.৫০ ঘটিকার সময় শিবগঞ্জ খানাধীন গুজিয়া গ্রামের জণৈক মকবুল হোসেন মবুর বসত বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই ২,৩,৪,৫,৬ নং বিবাদীর সহযোগিতার ১নং আসামী আমার মেয়ে কে জোর পূর্বক ১নং বিবাদী অজ্ঞাতনামা সিএনজি তে উঠিয়ে নিয়ে অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

উক্ত বিষয়টি আমজাদ হোসেন (৫৩) ১নং স্বাক্ষী দেখতে পায়ে উক্ত সিএনজি গাড়ী আটকানোর চেষ্টা করলে আটকাতে পারে না। অতঃপর বিষয়টি ১নং স্বাক্ষী আমাদেরকে জানালে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যগণ বিভিন্ন জায়গায় আমার নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ নাদিয়া আক্তার কে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। খোঁজাখুঁজি করে আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাই না। আমি একই ভারিখ রাত্রি অনুঃ ০৯.০০ ঘটিকার সময় ১নং আসামীর বসত বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানালে ১নং আসামীর অভিভাবক প্রথমে ঘটনার বিষয়ে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ১নং আসামীর অভিভাবক আমার মেয়ে কে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে বলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করিয়া সময় কাল ক্ষেপন করতে থাকে।

এ ঘটনার স্বাক্ষী হিসাবে ছিলেন ১। মোঃ আমজাদ হোসেন (৫৩), পিতা-আলহাজ্ব মোঃ আহম্মাদ আালী, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন (৫৪), পিতা-মোঃ নূর মোহাম্মাদ, ৩। মোঃ তাজুল ইসলাম (৪০), পিতা-এত আনার হোসেন এং, সর্ব সাং-গুজির, থানা জয়গঞ্জ, জেলা-বগুড়াসহ আরো অনেকে ঘটনায় বিষয়ে বিগত আছে।

কিশোরীর বাবা আরো জানান, আমার মেয়ে অপহরণের বিষয়টি নিয়ে আমার নিকট গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহিত আলোচনা করি এবং মেয়ে কে খোঁজা খুঁজির কাজে ব্যস্ত থাকার কারনর এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হয়েছে। আমি একজন পিতা হিসাবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপরোক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

এদিকে কিশোরী নাদিয়া’র চাচা বলেন, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমিসহ পরিবারের সবাই মেয়েটার জন্য খুব চিন্তিত, মেয়েটা বেঁচে আছে না কি? দেশের আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে দ্রুত আমাদের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কাজ করবে প্রশাসন এ আশা রাখি।

শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুজ্জামান জানান, আমরা আসামি ও ভিক্টিম উদ্ধারের জন্য দ্রুত চেষ্টা করছি। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ যথেষ্ট চেষ্টা চলছে। যতদ্রুত সম্ভব তাদেরকে আমরা উদ্ধার করব। এই মামলার তদন্ত করছেন এস আই রাজিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *