
খসরু মৃধা:
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকার শিশুদের নিরাপত্তা, বলাৎকার, মিডিয়ায় অপপ্রচার উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঝাড়ু ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকার মা বোনেরা ।
পহেলা মে বৃহস্পতিবার বিকালে পূবাইল থানার ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দ্রাবাদ তালগাছিয়ার টেক এলাকার মা বোনেরা ঝাড়ু ও বিক্ষোভ মিছিল করে ।
মিছিলের পর টঙ্গী-হায়দ্রাবাদ হয়ে গাজীপুর আঞ্চলিক সড়ক ১ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এতে করে ২কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী শিশুদের মায়েরা অভিযোগ করে বলেন, একটি মহল ইতোমধ্যেই লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও, অবরোধ, বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল ও প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক গুজব প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি ও বিক্ষোভ তৈরি করছেন। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
পূবাইল ওলামা পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি, মিরের বাজার মসজিদের খতিব মুফতি মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ২৭ এপ্রিল সকালে শিশুদের বলাৎকারের ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় পিরসাহেবের কাছে এলাকাবাসী বিচার দেয়। পীর সাহেব ইমাম সাহেবকে প্রথমে ২টি চড়-থাপ্পড় দেন। পরে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল এলাকার আখলাছ জামে মসজিদের ইমাম রইজ উদ্দিনকে একাধিক শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে স্থানীয় জনতা আটক করে। খবর পেয়ে পূবাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেলে চিকিৎসা দিয়ে গাজীপুর কোর্টে প্রেরণ করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২৮ এপ্রিল রাতে ইমাম রইজ উদ্দিন অসুস্থ বোধ করলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর যেন মসজিদ-মাদ্রাসায় এমন ঘটনা না ঘটে সেই দিকে ইমাম – খতিব ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।