
আবদুল আজিজ:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৫ নং ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেওঁচিয়া এলাকার নুনু চৌধুরী বাজারের উত্তর পাশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জায়গায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, জমি নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেওঁচিয়া এলাকার নুনু চৌধুরী বাড়ির মনির আহমদ এর সঙ্গে পারভিন আক্তার ও মোহাম্মদ রাসেল এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে অনেক দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। এর প্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। কিন্তু সে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করেন বলে অভিযোগ তুলেন মনির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ নাছির।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেওঁচিয়া এলাকার নুনু চৌধুরী বাজারের উত্তর পাশে ছদাহায় খোর্দ কেওঁচিয়া মৌজার বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
মামলার বাদী মনির আহমদের ছেলে নাছির বলেন, ‘এ জমি আমাদের মুরশী জায়গা দীর্ঘ দিন থেকে ভোগ করে আসছি। আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও জোর করে আমাদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর তোলাই এর প্রমাণ।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানা ও সাতকানিয়া সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছি। এ ছাড়া পারভিন আক্তার ও মোহাম্মদ রাসেল আমাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে পারভিন আক্তার বলেন, ‘আমরা অসহায়। ওই জমি আমরা কিনেছি। এর দলিল আছে। আমাদের নামে নামজারী আছে।এমনকি খাজনা দেওয়ার খাজনা কপিও আছে।সবকিছু থাকার পরও আমাদেরকে হয়রানী করছে বলে জানান।আমি প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
সাতকানিয়া থানার এ এস আই আব্দুর রহিমের কাছে মনির আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মনির আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক চৌধুরী বাদী হওয়া একটা অভিযোগ পেয়েছি এটি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।