আব্দুর রশিদ:
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বসতভিটা ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুর সরজমিনে জানা যায় জমির মালিক শাহানারা বেগম (৪৫) জানান,আমাকে জোর পূর্বক ভাবে ঘর থেকে বের করে দিয়ে জবর দখল করে অন্য লোক তুলে দখল করে রেখেছেন মনিরুল ইসলাম ও তাহার বাহিনীরা। সেই সাথে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। মনিরুল ইসলামের পোশা বাহিনীদেরকে নিয়ে তাহাদেরকে খারাপ মন্তব্য করে এবং মা ও মেয়েকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়।
এ কথা সোনার পরে শাহানারা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। সে এখন অসহায় মানবতায় জীবন কাটাচ্ছেন। শাহানারা বেগম সরকারি খাস জমিতে একটি কুড়ি ঘর বেধে বসবাস করার মতন ছাড়া তাহার আর কিছুই নাই।
সে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলার শাখরা কোমরপুরের সরকারি খাস জায়গাতে বসবাস করেন। এক পর্যায় সে অসহায় হয়ে তাহার মেয়েকে নিয়ে দেবহাটা থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাহানারা বেগম ও তার মেয়ে। অভিযোগকারীরা হলো, মো.তুহিন গাজী (৩৫) পিতা,বরত গাজী,কারিমুল্লাহ (২২) পিতা,সোবহান শেখ, মো.সোবহান শেখ (৬২)পিতা,মৃত,মাদার শেখ,মনিরুল (৪৫) পিতা,মৃত,আকবর আলী,আয়ুব আলী (৬২) পিতা,মৃত অযেদ আলী শেখ সর্ব সাং দেবহাটা।
শাহানারা বেগম থানায় কোন বিচার না পেয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ ম্যাজিঃ আমলি ৭ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আসামিদের বিরুদ্ধে এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
মামলা দায়ের করা পরেও তার নিজ বসত বাড়িতে গেলে তাহাদেরকে এলো পাতাড়ি মারধোর করে ও শাহানারা বেগমকে বসত বাড়ি থেকে জোর পূর্বক ভাবে তাড়িয়ে দেন মনিরুল ও তাহার বাহিনীরা।
জানা গেছে, এই মনিরুল ইসলাম আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। মনিরুল ইসলাম তাহার বাহিনীরা মিলে গ্রামের অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি দখল,জমি দখল ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয় মনিরুল ইসলামের চাচা সোবহান শেখ বলেন,শাহানারা বেগমের কাগজপত্র সঠিক থাকায় সে সাতক্ষীরা জজকোর্ট মামলা দায়ের করেন এতে আমাদের কোন অভিযোগ ছিল না। তারপরেও মনিরুল সহ তার বাহিনীকে নিয়ে ভাগ্নে তুহিন গাজীর পরিবারকে নাংলা থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক ভাবে শাহানারা বেগমের বসতবাড়িতে তুলে দেন এতে অভিযোগ ও মামলার কোন তোয়াক্কা করেন না তিনি।
অসহায় সাহানারা এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য ঘুরছেন। কিন্ত কোথায় গিয়া কোন বিচার পাচ্ছে না বলে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে মরতে চায় বলে জানান। সে এখন তার নিজ বসতবাড়ি ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।