মোঃ নাবিন আহমেদ:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-তে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ড্রাইভার পদে চাকরি নিয়ে কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন মো. ফোরকান হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ রয়েছে, চাকরির পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদ গড়েছেন।
জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার সারেংকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মো. ফোরকান হাওলাদার চাকরি পাওয়ার জন্য নিজের প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে ঢাকা বিভাগের কোটায় আবেদন করেন। যদিও বরিশাল বিভাগে নিয়োগের জন্য তখন কোনো কোটা খোলা ছিল না। বর্তমানে তার স্থায়ী ঠিকানা: মো. ফোরকান হাওলাদার, পিতা: আব্দুল জলিল হাওলাদার, মাতা: মনোয়ারা বেগম; গ্রাম: সারেংকাঠী, উপজেলা: নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী), জেলা: পিরোজপুর। বর্তমান ঠিকানা: মাঝারদিয়া, ভাঙ্গা, ফরিদপুর-৭৮৩০। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ১৯৭৯২৬৯১৬৪৯৪৫৮৩০৭, ডিজিটাল আইডি: ৫৯৭৩০৬৭১৯১।
অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন ঢাবির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ব্যবহার করে তিনি প্রতিষ্ঠানটির হেড অফিসে দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। ছিলেন তখন মশিউর রহমানের ড্রাইভার পরবর্তীতে বদলি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে তিনি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হন। রাজধানীর ডেমরায় রয়েছে তার বিলাসবহুল বাড়ি এবং ফ্ল্যাট।
বর্তমানে তিনি বিআরটিএর এক পরিচালকের গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের দাবি, ড্রাইভার ফোরকান হাওলাদারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।