আশুলিয়ায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি

আলমাস হোসেন :

আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুম, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিপাকে পড়েছে আশুলিয়া ও এর আশপাশের এলাকার মানুষ।

এই লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রচণ্ড গরমে ঘরে থাকা দায় হয়ে উঠেছে, আবার বাহিরেও নিরাপত্তার অভাব। বাইপাইল, পলাশবাড়ী, কাঁইচাবাড়ী, জামগড়া, ভাদাইল, নবীনগরের কুরগাও ও এর আশেপাশের এলাকার অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যায় এবং গভীর রাতে লোডশেডিং স্থায়ী হয় ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত।

স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মী হানিফ উদ্দিন  বলেন, “সারাদিন কাজের পর রাতে একটু ঘুমাতে চাই। কিন্তু রাত ১২টা নাই, ১টা ২টা নাই যখন তখন কারেন্ট চইলা যায়, গরমে সারা রাত ঘুমাইবার পারি না। সকালে আবার ডিউটিতে যাইতে হয়—শরীর ভাইঙ্গা যাইতাছে।”

অন্যদিকে এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, গভীর রাতে দোকান বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। অন্ধকারে বাড়ছে চুরি ঝুঁকি। অনেকেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইনভার্টার বা জেনারেটর স্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সবার সাধ্যের মধ্যে নেই।

ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি -১ এর জেনারেল  ম্যানেজার আখতারুজ্জামান লস্কর জানান, “জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হয়েছিলো। তাছাড়া পাশেই ডিইপিজেড মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট এলাকা, সেখানকার নিরবচ্ছিন্ন একটা লোড সাপ্লাই তো আছেই। আমরা চেষ্টা করছি যেন রাতের সময়টাতে কম বিভ্রাট হয়, তবে অচিরেই এ লোডশেডিং সমস্যা কমে যাবে।”

স্থানীয় জনসাধারণের দাবি, নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হোক, যাতে মানুষ অন্তত নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *