মোশারফ হোসেন জসিম পাঠান:
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া আল—হেলাল দাখিল মাদ্্রাসার সুপারের হোন্ডা ভাংচুর থানায় অভিযোগ, এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। সূত্রে জানা যায় গত ১৬/০৩/০২২৫ ইং তারিখে মাদ্্রাসার এতিম ছাত্রী মোছাঃ জান্নাতুল আক্তার এডমিট আনতে সুপারের কাছে গেলে অসালিন ভাষা প্রয়োগ করে পূর্বের ফরমফিলাপের বাকী টাকা চায়। এতিম ছাত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে ছাত্রীকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এই খবর এতিম ছাত্রীর অভিভাবক তার দাদাকে বিষয়টি বললে উপরে উল্লেখিত তারিখে সুপারের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে অসালিন কথাবার্তা বলে অপমান করে নিজের পকেট থেকে ১০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এই ভাবে ভিক্ষা করে টাকা যোগাড় করে নিয়ে আসেন। এই খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে সুপারকে না পেয়ে তার হোন্ডা ভাংচুর করে চলে যায়। এই ঘটনায় সুপার বাদী হয়ে গত ১৭/০৩/২০২৫ ইং তারিখ কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রতিপক্ষ জিয়াউর রহমানসহ ৬ জনকে অভিযোগে আসামী করে। এই ঘটনায় থানার এসআই ঘটনার স্থান পরিদর্শনের আগেই উক্ত বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সুপার মানববন্ধন করে পুরো এলাকা ও মাদ্রাসার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।
এই খবর শুনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে মাদ্রাসার কর্মকর্তা কর্মচারীগণদের কাছে জানতে চাইলে তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা কে ঘটিয়েছে আমরা দেখিনি এবং মানববন্ধন সম্বন্ধে জানতে চাইলে তারা উক্ত বিয়য়টি অবগত নহে। এব্যাপারে গ্রামবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মাদ্রাসার সুপার পূর্বে থেকেই আওয়ামী ক্ষমতা অপব্যয় করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এগুলো আমরা মানবতার দৃষ্টিতে কিছু বলিনি কিন্তু বর্তমানে যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা খুবই নেক্কারজনক। এই ঘটনাকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এব্যাপারে জেলার উর্ধ্বতন ও উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সু—দৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সাধারণ জনগন ও সচেতন মহল। এলাকাবাসী যারা তারা হলেন: মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ ইকবাল শেখ, মোঃ আতিকুর রহমান, মোঃ শাহ আলম, মোঃ হিরণ মিয়া, মোঃ নাজমুল হক, মোঃ আব্দুল হাই, মোঃ রিয়াদ মিয়া, মোঃ নয়ন মিয়া, মোঃ রূপ মিয়া, মোঃ সাব্বির খান, মোঃ জনি মিয়া, মোঃ আব্দুল হক, মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ নজরুল মিয়া, মোঃ রফিক মিয়া, মোঃ সনজু রহমান, মোঃ খোকন মিয়া, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ আশরাফুল, মোঃ হলুদ মিয়াসহ প্রমুখ। প্রকাশ থাকে যে, মাদ্রাসা সুপার……… চলবে।