ঢাকা জেলার বিআরটিএ দালাল আমজাদ ও মাসুদ জামিনে বেরিয়ে এসে মোটরযান পরির্দশক হাসান ও কামরুলের দালালি করছেন

স্টাফ রিপোর্টার  :

বিআরটিএ’র দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পড় টনক নড়েছে প্রশাসনের। বিআরটিএ তে দালালের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহন করেন বিআরটিএ’র হাসান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কামর“ল হাসান খান। ঢাকা জেলার ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে এক সময়কার বিগতো ১৬ বছর কেরানীগঞ্জ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল ইসলাম সামুর ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে ইকুরিয়া বিআরটিএ তে গেটিস হয়ে দালালি কাজ চালিয়ে যান। এরপর সামুর মাধ্যমে পরিচয় হয় কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামি যুবলীগের আহবায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদের সাথে পরিচিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন ও সামুর ¶মতায় দালালি রাজত্ব বড় করে তুলেন। আমজাদ হয়ে ওঠেন ইকুরিয়া বিআরটিএ’র দালালদের সরদার। আমজাদ সে সকল বিআরটিএ’র  দালাদের শাহিন চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে মাসিক চাঁদার ব্যাবস্থা করে দেন এবং সে হয়ে উঠে বেপরোয়া। আওয়ামী লীগ পতনের পর বিএনপি’র বিদ্রোহি মেম্বার হয়ে বিজয়ী সেলিম মেম্বারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন।

আওয়ামী লীগ পতনের পর পুরো দস্তুর বিএনপি নেতা বনে যান। আর তাকে সর্বাত্মক সহোযোগিতা করছেন হাসনাবাদের সেলিন মেম্বার। আওয়ামী দোসর হয়েও এখন বিআরটিএতে দালালি এবং বিআরটিএ’র কর্মকর্তা দের কাছ থেকে মসোয়ারা আদায় করছে। জেল থেকে বেরিয়ে সে এখন দালালি এবং চাঁদাবাজির কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা দেখার কেউ নেউ এবং সেলিম মেম্বারের ছত্র ছায়ায় সে এখন আরো বেশি সক্রিয়। আমজাদ বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। আমজাদ বহুরুপি একটি চরিত্র। অপর দিকে দালাল মাসুদের রয়েছে বাড়ি ও জমি।

দালাল মাসুদ, আমজাদ, মনির, লাকি ও সাগরের হাতে বন্ধি ঢাকা জেলা ইকুরিয়া বিআরটিএ। দালাল মাসুদ, আমজাদ, মনির, লাকি ও সাগরের বিকাশ নাম্বার চেক করলে দেখা যাবে তারা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা পাঠিয়ে দেয় মোটরযান পরির্দশক হাসান ও রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুল হাসানের গোপন বিকাশ নাম্বারে। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে হাসান ও কামরুল হাসান উভয় বলেন, বিআরটিএ নিয়ে অনেকেই লেখেন কাজ করতে গেলে ভাল মন্দ হবেই। দালালদের ধরার জন্য দুদক একযোগে ৩৫ জেলায় অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি ভুক্তভোগীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *