জামাত নেতা সাইফুল্লাহকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন রুজিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চরফ্যাশনে সম্প্রতি নিজের বিরুদ্ধে উঠা এক নারীর অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইফুল্লাহ মানসুর নামের এক ব্যবসায়ী।
সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় শশীভূষণে নিজ বাসায় তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত শুক্রবার বিকেলে আমার দূর সম্পর্কের মামাতো বোন দাবি করেন যে, তাকে আমি বিয়ে করেছি, যার পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। মূলত তার বাবা আমাদের আত্মীয় হওয়ায় তাদের বাড়িতে ছোটবেলায় আমার যাতায়াত ছিল। আমি বরিশালে পড়াশোনা করায় দীর্ঘ সময় তাদের সাথে আমার যোগাযোগ ছিল না। প্রায় ১০ বছর আগে আমার পিতার মৃত্যুর পর আমি পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় শশীভূষণ বাজারে ব্যবসা শুরু করি।


সে আমার মামাতো বোন পরিচয়ে পারিবারিক বিভিন্ন প্রয়োজনে মাঝে মাঝে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলত। শুনেছি, আগে এক জায়গায় তার বিয়ে হয়েছিল, যা স্থায়ী হয়নি। এরই মধ্যে তার মোবাইল নম্বর থেকে আমার মোবাইলে বিকাশে বিশ হাজার টাকা আসে, এবং সেই মামাতো বোন আমাকে ফোনে জানায়, সে ঢাকায় একটি চাকরি করে, তার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে, যাতে টাকা না হারিয়ে যায়, তাই আমার বিকাশে টাকা রেখেছে। পরবর্তীতে টাকা গুলো বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে সে চেয়ে নেয়। এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নম্বরে আমার বিকাশে সে টাকা পাঠায়, আবার তার প্রয়োজনে সে চেয়ে নেয়।
বিভিন্ন মাধ্যমে সে তার বক্তব্যে দাবি করছে যে, আমি নাকি তাকে বিয়ে করে ঢাকায় ঘর ভাড়া করে রেখেছি, এবং বিভিন্ন সময়ে তার খরচ বাবদ টাকা দিয়েছি। যা মূলত ভিত্তিহীন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি যদি তাকে খরচ বাবদ ঢাকায় টাকা পাঠাতাম, তাহলে উল্টো সে কেন তার মোবাইল থেকে আমার নম্বরে বিকাশে টাকা পাঠালো?


এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, এমন একটি মিথ্যা অভিযোগকে ডকুমেন্ট আকারে প্রতিষ্ঠিত করতেই আমার এই মামাতো বোন আমার নম্বরে মিথ্যা কথা বলে টাকা পাঠায় এবং বিভিন্ন সময়ে তার প্রয়োজনে আমার কাছ থেকে চেয়ে নেয়। যা সে মিথ্যা স্টেটমেন্ট আকারে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সাইফুল্লাহ মানসুরের মা জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সাইফুল্লাহ মানসুর সংসারের হাল ধরে। গত শুক্রবার আমার দূর সম্পর্কের ভাতিজি কোনো প্রমাণ ছাড়াই আমার এতিম সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। তিনি অনুরোধ করে জানান, আমরা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেছি, তাকেও বলেছি আমার ছেলে আইনের চোখে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার আগে, কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া যেন এভাবে আমার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো না ছড়ায়।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, ১০ দিনের মধ্যে উভয় পরিবারকে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি, তা না হলে তারা আইনের দ্বারস্থ হয়ে বিষয়টি সমাধান করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *