শেখরনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা বুলবুলের ছত্রছায়ায় চলছে দালাল বানিজ্য ও মাটি কাটা

স্টাফ রিপোর্টারঃ


দেশের ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর দুর্নীতি যেন ওপেন সিক্রেট। বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় এসব অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে জেলা প্রশাসন, কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, ভূমি অফিসের ঘুষের টাকার ভাগ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে যায়, ফলে ব্যবস্থা গ্রহণে দেখা দেয় গড়িমসি।

সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) বুলবুলের ছত্রছায়ায় চলছে প্রকাশ্য দালাল বাণিজ্য ও কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির কাজ। অভিযোগ রয়েছে, সরাসরি কেউ অফিসে গেলে নানা অজুহাতে ঘোরাতে থাকেন বুলবুল। নানা কাগজপত্রের অযুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় ভুক্তভোগীদের। তবে, কোনো দালাল ধরলেই কাজ হয় দ্রুত। ফলে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কাজ করাতে বাধ্য হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, “নামজারির জন্য আবেদন করেও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে হয়েছে।”

ন্যায়ব বুলবুল এ বিষয়ে বলেন, “কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। আপনারা চাইলে অফিসে এসে কথা বলুন।”

এদিকে শেখরনগরে বর্তমানে কৃষিজমির মাটি কেটে রাতের আঁধারে পুকুর বানানোর মহোৎসব চলছে। এসব মাটি বিক্রি হচ্ছে আশেপাশের ইটভাটায়। এতে কৃষকরা যেমন জমি হারাচ্ছেন, তেমনি পরিবেশেও মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, মাটিকাটার এই কাজে নায়েব বুলবুল ছাড়াও ভূমি অফিসের জসিম ও সামসু নামের কয়েকজন সহযোগিতা করছেন এবং মোটা অঙ্কের ঘুষ নিচ্ছেন।

গতকাল বিষয়টি অনুসন্ধানে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন বুলবুল এবং তার সহযোগীরা। কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে একাধিক ভুক্তভোগী মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *