ধোকড়াকুল ডিগ্রি কলেজে ঘটে গেল এক অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষয়ী ঘটনা

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:


রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল ডিগ্রি কলেজে ঘটে গেছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষয়ী ঘটনা।

জানা যায়, গত ৮ই মে ২০২৫ ইং, বৃহস্পতিবার উক্ত কলেজ ক্যাম্পাসে সাব্বির নামের এক উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কলেজের অধ্যাপক একরামুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় তারই ভাতিজা অপু কলেজটিতে উশৃঙ্খল আচরণ করে চলেছে। অধ্যাপক একরামুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি তার ভাইকে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি করার চেষ্টা করছেন। তিনি কলেজে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চান। এই উদ্দেশ্যে তিনি তার ভাতিজা অপুর মাধ্যমে কলেজে এক ধরনের আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা অপুর অশ্লীল ভাষা ও আচরণে আতঙ্কিত থাকেন। কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, অপু স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটে গত ৮ মে। সাব্বির ও তার বন্ধুরা একটি শ্রেণিকক্ষে মোবাইলে ছবি তোলার সময় দরজা বন্ধ করে রাখে। এ সময় অপু এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। দরজা খুলতে বিলম্ব হওয়ায় অপু ক্ষিপ্ত হয়ে দরজায় লাথি মারতে থাকে। সাব্বির দরজা খুললে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অপু স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সাব্বিরকে মারধর ও কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দেয়।

পরে সাব্বির অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে গেলে অভিযোগ করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অপু স্থানীয় কিছু বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে সাব্বিরের ওপর হামলা চালায়। তাদের কাছে হকস্টিক, জিআই পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। সাব্বিরকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে ফেলে। এ সময় অধ্যক্ষ তাদের থামানোর চেষ্টা করলে, অপু তাকেও বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথায় ৬টি সেলাই দেওয়া হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিকিৎসা করা হয়।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন,
“আমরা আহত সাব্বিরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *