‘হ্যালো! আপনি কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন? আমরা ভেতরে মারা যাচ্ছি

প্রতিবেদক  রাদিয়া ইসলাম হৃদি :

‘হ্যালো! আপনি কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন? আমরা গাজায় আছি। আমরা ভেতরে মারা যাচ্ছি।  আমি, আমার সন্তানরা এবং আরও অনেক শিশু খুবই কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে আছি। ’

গত সপ্তাহে ম্যাসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে এমনই একটি হৃদয়স্পর্শী ম্যাসেজ পান বিবিসির সাংবাদিক অ্যালিস কাডি। তাকে ম্যাসেজটি পাঠিয়েছেন আয়মান নামের গাজার এক ফিলিস্তিনি।  বর্তমানে তিনি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তার পরিবার নিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে রয়েছেন।

ইসরাইলি অবরোধ অব্যাহত থাকায় তাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি।  এছাড়া আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে না।  যার ফলে তাদের সঙ্গে ফোন কল বা বার্তার মাধ্যমেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে আয়মান বলেছেন, ‘আমার পরিবারের বাস্তবতা…. ভাষায় বর্ণনার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা যে তীব্র ক্ষুধা অনুভব করছি তার কারণে ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারছি না। তবে আমি একটি ভিডিও তৈরি করে আপনার কাছে পাঠাবো, ইনশাআল্লাহ। ’

তবে গাজাবাসীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ তাদের কে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ পেতেও সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

আয়মানের ম্যাসেজের সাড়া দিয়ে তাকে পাঠানো বার্তাগুলোর পাশে এখন একটি টিক চিহ্ন দেখায় বলে জানিয়েছেন অ্যালিস। যার অর্থ আয়মানের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে এখন ইন্টারনেট চালু নেই।

এদিকে গাজায় বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।  উত্তর গাজা থেকে বুধবার ভোর থেকে উত্তর গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বেশ কিছু স্থানে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে আরও ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি হামলা গাজার বেশিরভাগ স্থান ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *