তারুণ্যের পথপ্রদর্শক তরুণ রাজনীতিবিদ নাজমুল মোস্তফা আমিন

কামরুল ইসলাম: 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের যে কয়েকজন নেতার উত্থান ইতোমধ্যে আলোচিত, তাদের মধ্যে নাজমুল মোস্তফা আমিন অন্যতম। সংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাজনীতিতে তার অবস্থান আজ শক্তপোক্ত এবং প্রতিশ্রুতিশীল। তবে তার রাজনৈতিক জীবনের উত্থান দেখে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, কিন্তু এতে করে নাজমুল মোস্তফা আমিনের কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং বিএনপির ক্ষতি হয়েছে। তাই এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ জাতীয়তাবাদী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভাইস-চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।

নাজমুল মোস্তফা আমিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম। যেই সময় লোহাগাড়া বিএনপির রাজনীতিতে পড়তে শুরু করেছে, তখন তিনি সরাসরি মাঠের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে শক্ত হাতে লোহাগাড়া বিএনপির হাল ধরেন। তার কারণে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে উঠে আসেন এবং ত্যাগী নেতা হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। যদিও কিছুদিন পূর্বে আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক হওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ষড়যন্ত্র করে তাকে সিনিয়র সদস্য করা হয়। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, এইবার কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি, যার ফলে ত্যাগী নেতাদের বড় অভাব দেখা দিতে পারে এবং তারা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।

নাজমুল মোস্তফা আমিন তার রাজনৈতিক বক্তব্যে দলীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। এক সমাবেশে তিনি বলেন, “বিএনপি একটি পরিবার। পরিবারে যেমন পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকে, তেমনি আমাদের নিজেদের মধ্যেই সমস্যা সমাধান করতে হবে, বাহিরে নয়। নিজেদের ভেতরে সমন্বয়েই দলের অগ্রগতি।” তিনি দলের কোনো প্রকার গ্রুপিং বা কোন্দলকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষাই তার প্রধান লক্ষ্য।

রাজনীতির বাইরেও তার মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশংসিত। সম্প্রতি, তিনি নিজের অর্থে এলাকার এবং এর আশপাশের রাস্তা মেরামত ও নির্মাণ করেছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যসম্মত পানি সরবরাহ এবং কৃষি কাজের সুবিধার জন্য গভীর টিউবওয়েল বসিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি জনসাধারণের কাছে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত স্বার্থ না দেখে জনসেবায় আত্মনিয়োগের আহ্বানও তিনি বারবার জানিয়েছেন।

বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নাজমুল মোস্তফা আমিন স্পষ্টভাবে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপির আন্দোলনের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবকে সময়োপযোগী ও প্রগতিশীল আখ্যা দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আজ তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন থেকে মুক্তি পেতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।”

তরুণ ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে নাজমুল মোস্তফা আমিন শুধু বিএনপির নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের একজন সম্ভাবনাময় নেতা। সংগঠন পরিচালনা, জনসম্পৃক্ততা এবং রাজনৈতিক চেতনার দিক দিয়ে তার কর্মপন্থা নতুন নেতৃত্বের একটি আদর্শ মডেল তৈরি করতে পারে।

নাজমুল মোস্তফা আমিন রাজনীতিকে জনসেবার মাধ্যম হিসেবে দেখেন। নতুন ধারার নেতৃত্ব দিয়ে নতুন সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছেন। তার নেতৃত্বগুণ, দূরদর্শিতা এবং দলপ্রেম তাকে আগামী দিনে দেশের জাতীয় রাজনীতিতে আরও উচ্চতর স্থানে পৌঁছে দিতে পারে—এই প্রত্যাশা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রবলভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *