মোঃ জাহাঙ্গীর আলম :
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের তরা মির্জাপুর গ্রামের কালিগঙ্গা নদীর পাড়ে বসিয়ে প্রতি মাসে ড্রেজার এসিল্যান্ডের ড্রাইভার কে মাসিক ১লাখ টাকার চাঁদা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বালুদুস্যু ফরহাদ এর বিরুদ্ধে । সরজমিনে দেখা যায়, সোমবার ১২-০৫-২৫ইং তারিখে তরা মির্জাপুর গ্রামের কালিগঙ্গা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে । এবিষয়ে, স্হানীয় বেশকিছু সংখ্যালুঘু নারী ও পুরুষরা বলেন, প্রাণী উন্নয়ন বোর্ডের নদী রক্ষার বাঁধ নির্মাণ করলে কি হবে, যদি এখানেই আবার ড্রেজার বাণিজ্য চলে। এই ড্রেজারের জন্য আমরা মাসের পর মাস বছরের পর বছর বাড়ি ভাংগাসহ ড্রেজারের বিকট শব্দে রাতে ঘুমাতে পারি না শিশুরা ঘুমে আত্ত চিৎকার করে উঠে। তাছাড়া আমরা সংখ্যালুঘু হওয়ায় ড্রেজার বন্ধের কথা বললে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে থাকে। অবৈধ এ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও সুশীল সমাজেরা মনে করছেন এটা লোক দেখানো ডিলে- ঢালা অভিযান।
এনিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্ন তোলপাড় হয়ে উঠেছে।
একদিক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে বৃষ্টি ও বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ইতোমধ্যে বহু ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এমন অপতৎপরতা চালু থাকলে ভবিষ্যতে নদী ভাঙনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক ক্লাসিং কাজ সরকারের কোটি টাকা বিলীন হয়ে যাবে । তাছাড়া ৫ আগষ্টের পরে ড্রেজারের সংখ্যা এতো বেড়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না, এ অবৈধ ড্রেজার বাঁধা প্রদান করা তো দূরের কথা মুখে কোন শব্দ উচ্চারণ করা যায় না।
এবিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়িক ফরহাদ বলেন, এসিল্যান্ডের ড্রাইবার কে প্রতি মাসে ১লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে ড্রেজার চালাই তাছাড়া থানায় দেওয়া লাগে ২০ হাজার টাকা, দেখা গেছে, কি! যে অবস্থা মাস শেষে কিছুই থাকে না। এ মাসের ১২ তারিখে দিলাম আবার সামনে মাসের ১২ তারিখে দিতে হয়। আবার কোন কারণে ড্রেজার বন্ধ রাখলে সেটা আবার এসিল্যান্ডের ড্রাইভার কে জানাতে হয়। কোন ড্রেজার ব্যবসায়িক নাই যে মাসে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয় না। মাসে ১লাখ টাকা না দিলে অভিযান হবে সে আর চালাতে পারবে না। শুধু আমার না সব ড্রেজারের কাছে থেকে মাসে ১লাখ টাকা নেয়। তবে আমি যে বলছি সেটা বলবেন না যদি জানতে পারে তাহলে আমি আর ড্রেজার চালাতে পারবো না।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম মুঠো ফোনে ড্রেজার ব্যবসায়িক ফরহাদ এর লোকেশন চেয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নুরজাহান আক্তার কে মুঠো ফোনে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আছমা সুলতানা নাসরীন কে মেজেছ করলে ও ফোনে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।