মো. আরাফাত হোসেন:
সিটি প্রেস ক্লাব সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. রাশেদুল ইসলাম সমাজের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি সমাজ উন্নয়ন, সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলার উন্নয়ন এবং শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার প্রসারে তাঁর সুদূরপ্রসারী ভাবনা ও বাস্তব পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ আখ্যায়িত করে সিটি প্রেস ক্লাব সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, “বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন তারা।” তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকরা কেবল তথ্য সরবরাহকারী নন, বরং সমাজ পরিবর্তনেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।” এছাড়াও তিনি জানান, “সিটি প্রেস ক্লাবের সদস্যরা নিয়মিতভাবে সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেন এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সক্রিয় থাকেন।” সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ নির্মাণে সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই।” তিনি আরও জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, সংস্কৃতির চর্চা মানুষকে উদার ও সংবেদনশীল করে তোলে। আমাদের এই প্রয়াস তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে চালিত করতে সহায়ক হবে।” রাশেদুল ইসলাম আরও উল্লেখ করেন যে ক্লাবটি কেবল স্থানীয় নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরও সম্মানিত করে এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও নিয়োজিত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২১ এপ্রিল সিটি প্রেস ক্লাব সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের “সিটি প্রেস ক্লাব অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫” প্রদান করা হয়েছে।
ক্রীড়া উন্নয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “সুস্থ ও প্রাণবন্ত জাতি গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই। ক্রীড়া সাংবাদিকরা খেলোয়াড় ও ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিচ্ছবি। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে এবং ক্রীড়াঙ্গনের সমস্যা সমাধানে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও মনে করেন, “ক্রীড়া সাংবাদিকরা শুধু তথ্য দেন না, বরং তরুণদের খেলাধুলায় আগ্রহী করে সুস্থ জাতি গঠনে সাহায্য করতে পারেন। তাদের কলম ক্রীড়াক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।” সিটি প্রেস ক্লাব ক্রীড়া সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে কর্মশালা করবে এবং স্থানীয় খেলার মাঠ ও খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে জনমত তৈরি করবে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি উন্নত ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে উঠবে এবং ক্লাবটি তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এর বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে। শান্তি ও সম্প্রীতির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “একটি স্থিতিশীল ও প্রগতিশীল সমাজ নির্মাণে শান্তি ও সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। সাংবাদিকরা যেমন সত্য তুলে ধরেন, তেমনি শান্তির বার্তা বাহক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।” তিনি আরও জানান, সিটি প্রেস ক্লাব নিয়মিতভাবে শান্তি বিষয়ক আলোচনা সভা এবং সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ নির্মাণ সম্ভব এবং গণমাধ্যম এক্ষেত্রে সহায়কের ভূমিকা পালন করতে পারে। সিটি প্রেস ক্লাব এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বদা সহযোগিতা করবে।
ভবিষ্যতে সিটি প্রেস ক্লাব সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এক সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, লোকজ সংস্কৃতির প্রসার, যুবকদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নিয়মিত ক্রীড়া আয়োজন এবং শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা ও উৎসবের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও নারী ও যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষে প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। সভাপতি রাশেদুল ইসলাম মনে করেন, সকলের সম্মিলিত ও সুচিন্তিত পদক্ষেপে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ সম্ভব এবং এই মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। বৃহত্তর সমাজের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতাও কম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের উন্নতিতে অবদান রাখা সকলের কর্তব্য।” সিটি প্রেস ক্লাব সভাপতি রাশেদুল ইসলামের এই সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা কেবল একটি ক্লাবের উদ্যোগ নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নয়নে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অন্যান্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করবে এবং সম্মিলিতভাবে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হবে।