মোছাঃ নাছিমা খাতুন সুলতানা:
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলাধীন আশুজিয়া ইউনিয়নের রামপুর দূর্গাশ্রম গ্রামের ফুলমিয়ার মেয়ে রামনগর হাফিজিয়া মাদ্রাসা নূরানী শ্রেণির ছাত্রীকে গত ০৭/০৫/২০২৪ ইং তারিখে প্রলোভনের মাধ্যমে মেয়েটিকে অপহরণ করে একই গ্রামের মোঃ শহিদ মিয়ার ছেলে শাহ আলম(২৩)।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েটির বাবা মোঃ ফুলমিয়া বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিপক্ষ শাহ আলম সহ ৫জনকে আসামী করে। এই নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক গণ তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গ্রাম ও পাড়ার লোকজনের সঙ্গে জানতে চাইলে তারা সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযোগের উল্লেখিত ১ নং আসামী তার মামার বাড়িতে বসবাসরত অবস্থায় মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় থানার এস আই মোজাম্মেল হক ২ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে শাহ আলম নিজের জীবনকে বাঁচানোর জন্য মেয়েটিকে কোর্টের মাধ্যমে এফিডেবিট করে বিয়ে করে । উল্লেখিত বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি কাজীর সহকারী মোস্তফার নেতৃত্বে বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় এবং ১২ লক্ষ টাকা কাবিন করে।
উল্লেখিত বিবাহ বিষয়ে মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাদা কাগজের মাধ্যমে ১২ লক্ষ টাকা কাবিন দেওয়া হয়েছে। শাহ আলমের পরিবারের সঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, এফিডেবিটের মধ্যে ২ লক্ষ টাকা উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকার সাধারন জনগণের সঙ্গে সাংবাদিক কথা বলে জানা যায় মেয়েটি মাদ্রাসার ছাত্রী তার পূর্ণ বয়স না হয়নি কিন্তু এলাকার কাজী এমতাবস্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে মামলার বিঘ্ন সৃষ্টি ও এলাকায় বাল্যবিবাহ প্রভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল… চলমান।