মোঃ আনজার শাহ:
ইতালির স্পন্সর ভিসা দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রাজীব প্রকাশ জামাল। করেছেন আলিশান বাড়ি ও গাড়ি এবং দেশ ও দেশের বাইরে করেছেন একাধিক বিয়ে।
তার বিরুদ্ধে ডিএমপি ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার মামলা নং ২৯, তারিখ ১৩/৮/২০২০ ইং, ধারা—মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ সালের ৬/৭/৮/১০ এবং বিজ্ঞ আদালতের সিআর মামলা নং ৩১৬/২৫, ধারা—বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন ২০২৩ সালের ৩১(গ)/৩৩/৩৪/৩৬ সহ পেনাল কোড ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের নৈয়াইর গ্রামের মোহাম্মদ আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজীব প্রকাশ জামাল পেশাদার আদম ব্যবসায়ী; বিদেশ থেকে ভিসা এনে বিক্রি করেন। জামালের বাড়ি একই উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের স্বপাড়া গ্রামে। রাজীব প্রকাশ জামাল মোহাম্মদ আলীর ছেলে মারুফ হোসাইন (২৩)-কে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ১৮ লাখ টাকা চাইলে মোহাম্মদ আলী ১৪ লাখ টাকা দেন।
কিছুদিন পর রাজীব প্রকাশ জামাল বাকি ৪ লাখ টাকার জন্য তালবাহানা করলে মোহাম্মদ আলী ধারদেনা করে বাকি ৪ লাখ টাকা দেন। রাজীব প্রকাশ জামাল কিছুদিন পর মোহাম্মদ আলীর ছেলেকে ইতালি পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
পরবর্তীতে রাজীব প্রকাশ জামাল ইতালির স্পন্সর ভিসা না দিয়ে জাল ভিসা দিয়ে দুবাই থেকে শ্রীলঙ্কা পাঠিয়ে দেন এবং অন্য আদম ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। একপর্যায়ে আদম ব্যবসায়ীরা তাকে টাকার জন্য নির্যাতন করতে থাকে। পরে মারুফ হোসাইনের কাছে থাকা ২০০০ ডলার তাদেরকে দেওয়ার পর তারা নির্যাতন বন্ধ করে দেয়।
মারুফ হোসাইন একপর্যায়ে মানব পাচার চক্রের কবল থেকে পালিয়ে দেশে চলে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজীব প্রকাশ জামাল আদম ব্যবসা করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। ঢাকা ও শ্রীলঙ্কায় রয়েছে আলিশান বাড়ি। করেছেন একাধিক বিয়ে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বেশ কিছু মামলা।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”