স্টাফ রিপোর্টার:
মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ফজর আলী চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে আবারও আলোচনায়।
দলীয় ক্ষমতার প্রভাব কাজে লাগিয়ে ফজর আলী এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন একটি প্রভাবশালী চাঁদাবাজ চক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এবং লাবিবা পরিবহনের কাউন্টার জোরপূর্বক দখল করে এখনো চাঁদা আদায় করছেন তিনি।
উপজেলায় একাধিক সময় আওয়ামী লীগ শাসনামলে চাঁদাবাজি, দখল ও অনিয়মের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আতিকুর রহমানের ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত এই ফজর আলী অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, দাবি করেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ফজর আলীকে খোঁজা হচ্ছে। তাকে পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—“যে ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত, সে কীভাবে এখনো এলাকায় দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়?”
ফজর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। এলাকাবাসী আমাকে জানে ও চেনে। আমি এলাকায় থাকবো এবং আমার কাজ চালিয়ে যাবো।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী দাবি করেছেন, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এবং কিছু বিএনপি নেতার নীরব সহযোগিতায় ফজর আলী এখনও এলাকায় সক্রিয়ভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী দ্রুত চাঁদাবাজ ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।