ভুয়া ভিসা বাণিজ্যে ৯ লাখ হাতিয়ে পলাতক সাইফুল-আসাদ

হাটহাজারী প্রতিনিধি:

সৌদি আরবে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রায় ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ময়মনসিংহ জেলার দুই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ও আসাদ মিয়া—এমন অভিযোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে।

ভুক্তভোগী মো. শাহজাহান জানান, প্রতারক সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার আউটবাড়িয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের আলবাথা এলাকার একটি মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন (ইকামা নম্বর: ২২৬৫৩৪৪৫৬০)। আর অভিযুক্ত আসাদ মিয়া ভালুকা উপজেলার টুংড়া পাড়ার গোলাপ হোসেন ও আম্বিয়া খাতুনের ছেলে। তিনিও সৌদি প্রবাসী।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সাইফুল এবং তার সহযোগী আসাদ সৌদি আরবে আকামা ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধাপে মোট ৯ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা, বিকাশে ৪২,৯০০ টাকা ও হাতে হাতে আরও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সৌদি পৌঁছানোর পর আকামা বাবদ আরও এক লাখ টাকা সাইফুলকে দেন তিনি।

কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাইফুল আকামা বা কোনো চাকরি ব্যবস্থা করেননি। এতে ভুক্তভোগী শাহজাহান প্রবাসে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন এবং শেষপর্যন্ত দেশে ফিরে আসেন।

দেশে ফিরে আইনের আশ্রয় নেন তিনি। চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত করছেন হাটহাজারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামান।

শাহজাহান জানান, টাকা ফেরত চাওয়ায় সাইফুল তাকে র‍্যাব ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়েছেন। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রতারণার টাকায় অভিযুক্তরা নিজ এলাকায় বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ, গাড়ি ক্রয় ও জমি কিনেছেন। এসব সম্পত্তি তারা স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দলিল করে রেখেছেন।

বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *