খসরু মৃধা:
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহার বদলে ‘মামলাবাণিজ্য’ করার অভিযোগ তুলেছেন বাদী সালাউদ্দিন সাদিক। মঙ্গলবার টঙ্গী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সালাউদ্দিন জানান, গত ২৫ এপ্রিল গাছা থানায় দায়ের করা মামলার (নম্বর: ২৫(৪)২০২৫) এজাহারে তিনি ৫২ জনকে আসামি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু থানায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, আসামির সংখ্যা ১১৮ জনে পৌঁছেছে। যার মধ্যে অন্তত ৯০ জনকে তিনি চেনেন না।
তিনি অভিযোগ করেন, “ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাদের সহযোগিতায় মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামি করেছেন। এমনকি জোর করে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে থানায়।”
তিনি আরো বলেন, “২০২৪ সালের ১৯ জুলাই উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে আন্দোলনের সময় শহীদ রিয়াদ আমার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আমি নিজেও ২০ জুলাই হামলার শিকার হই। এই নির্মম ঘটনাগুলোর সাক্ষী আমি নিজে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ৫২ জন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তা ধামাচাপা দিয়ে উল্টো নিরপরাধদের আসামি করা হয়েছে।”
সালাউদ্দিন অভিযোগ করেন, ওসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফোনে হত্যার হুমকিও পেয়েছেন বলে তিনি জানান। “আমাকে ফোন করে জানতে চাওয়া হচ্ছে, কত টাকায় আমি চুপ হয়ে যাব,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, “মামলার এজাহারে যাদের নাম রয়েছে তা বাদীর সম্মতিতেই হয়েছে। তিনি মামলার কপি দেখে তবেই স্বাক্ষর করেছেন। এখন যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”