চিৎলা পাটবীজ খামারে গাফিলতি, বিপদে বিএডিসি ও কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার:


মেহেরপুরের চিৎলা পাটবীজ খামারে বোরো মৌসুমের ধানের বীজ সংরক্ষণে চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে বীজের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা কৃষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খোলা মাঠে বৃষ্টির মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় ধানের বীজ পড়ে আছে। ফলে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় এক বিএডিসি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পর্যাপ্ত তদারকির অভাবেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নমানের বীজ কৃষকদের উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। একদিকে ফলন কমে যাবে, অন্যদিকে বীজ থেকে চারা না উঠলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে। দীর্ঘমেয়াদে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকার পরও কর্তৃপক্ষ সময়মতো বীজ সংগ্রহ কিংবা সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেড ও গুদামের অভাব, তদারকির ঘাটতি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এ সমস্যার জন্য দায়ী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন কভার, টিনশেড বা অস্থায়ী ছাউনি ব্যবহার করে বীজ বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। একইসঙ্গে মৌসুম শুরুর আগেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ এবং দক্ষ জনবল দিয়ে নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা জরুরি।

চাষিদের ভাগ্য অনেকটাই ভালো বীজের ওপর নির্ভরশীল। তাই রাষ্ট্রীয় খামারে এ ধরনের গাফিলতি শুধু দুঃখজনক নয়, বরং দেশের কৃষি অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এর চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *