আশাশুনিতে ১৫ ফুট রাস্তা সংস্কার হচ্ছে ১২ ফুট করে, কাজ বন্ধ করল এলাকাবাসী

আব্দুর রশিদ, সাতক্ষীরা:


সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গার ছমিল মোড় থেকে তেতুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত এলজিইডির মেইন পিচ সড়কটি পূর্বে ছিল ১৫ ফুট চওড়া। তবে চলমান সংস্কারকাজে রাস্তাটি ১২ ফুটে সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন আশাশুনির দক্ষিণাঞ্চল, খুলনার তালা, পাইকগাছা ও কয়রার যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। ১৫ ফুট চওড়া রাস্তা হঠাৎ ১২ ফুটে রূপ নিলে সাধারণ মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে পড়বে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে।

শুক্রবার (৩০ মে) সকালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও যুব সংগঠনের সদস্যরা কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড়দল ইউনিয়ন যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন আঙ্গুর, আল-আমিন যুব সংঘের সভাপতি ও সাংবাদিক এস এম শরিফুল ইসলাম শরীফ, হাফেজ রুহুল আমিনসহ অনেকে।

তাদের দাবি, “ব্রীজ সংলগ্ন টার্নিং অংশে আগে একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন ১২ ফুট করে কাজ করলে একটি ট্রাক চললে পাশ দিয়ে মানুষ চলতেই পারবে না। এই রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় ১৫ ফুট চওড়া করতেই হবে। অন্যথায় কোনো কন্ট্রাক্টরকেই কাজ করতে দেওয়া হবে না।”

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ-এর কন্ট্রাক্টর মুকুল সরদার জানান, গোয়ালডাঙ্গার ছমিল মোড় হতে তেতুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত ৬৫০ মিটার ও কাদাকাটি-হলদেপোতা পর্যন্ত মোট ২.৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা।
তিনি বলেন, “সরকারি এস্টিমেটে ৩.৭ মিটার অর্থাৎ ১২ ফুট ২ ইঞ্চি চওড়া রাস্তার কাজ করার কথা বলা হয়েছে। তবে মিস্ত্রীরা ব্রীজের অংশে হয়তো ভুল করে আরও সরু করে ফেলেছে। আমি নির্দেশ দিয়েছি সেখানে চওড়া করে কাজ করার জন্য।”

এ প্রসঙ্গে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা অনিন্দ্য দেব জানান, “সরকারি এস্টিমেট অনুযায়ী রাস্তা হবে ১২ ফুট ২ ইঞ্চি চওড়া। তবে স্থানীয়দের দাবি এবং টার্নিং এলাকায় সমস্যা থাকায় আমরা কন্ট্রাক্টরকে বলেছি সে অংশে রাস্তা চওড়া করতে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় ১৫ ফুট চওড়া করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *