আনোয়ার হোসেন আনু:
ঠাকুরগাঁওয়ে জমি দখলের প্রতিবাদ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজর আলী (৭০) দেশীয় অস্ত্রের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৮ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন মুসলিমনগর এলাকায়। পরে রাতেই আহত ফজর আলীর ছেলে আল মামুন (৩৮) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন—এমদাদুল হক শরীফ (৩৬), মাজহারুল ইসলাম নয়ন (৪৩), জহিরুল ইসলাম লিটন (৪১) এবং রাসেল আহম্মেদ (৪৩)। অভিযোগে বলা হয়েছে, এমদাদুল হক শরীফ তার সহযোগীসহ ১০-১৫ জন নিয়ে মামুনদের দোকানঘর ও জমি জোরপূর্বক দখল করতে আসেন। এ সময় দোকানে অবস্থানরত ফজর আলী বাধা দিলে এমদাদুল হক শরীফ চাপাতি দিয়ে তার কপাল ও হাতে আঘাত করেন। এরপর রড ও লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ফজর আলীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আল মামুন অভিযোগ করেন, “আমরা বাইরে থাকায় এই সুযোগে শরীফ দলবল নিয়ে জমি-দোকান দখলে আসে। আমার বাবা বাধা দিলে তারা দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং সঙ্গে থাকা ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।”
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার পাল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযানে গিয়ে এমদাদুল হক শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। শরীফ যদি সত্যিই এই অপরাধ করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে বাকি তিন অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।