মোঃ আনজার শাহ:
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম—বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সাহসী ও দূরদর্শী নেতা। ১৯৭১ সালে তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। তিনি ছিলেন এক বিদ্রোহী, কৌশলী ও জাতীয়তাবাদী সৈনিক। তাঁর প্রতি জাতির গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।
“স্টেটসম্যান” খ্যাত মেজর জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন। তাঁর দর্শন ছিল—“নিজেকে জানো, দেশকে ভালোবাসো।” আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনে এই দর্শন ছিল তাঁর মূলমন্ত্র।
১৯৮১ সালের ৩০ মে, ঘাতকের গুলিতে তিনি শহীদ হন।
সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপতি—এক বর্ণাঢ্য জীবন ছিল তাঁর, অথচ জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত অনাড়ম্বর। প্রেসিডেন্ট জিয়া আজীবন বাংলাদেশের আকাশে এক দীপ্তিমান তারকা হয়ে জ্বলতে থাকবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া—একজন গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নির্বাহী পদে উন্নীত হওয়া এক অসাধারণ নারী। রাজনীতিতে তাঁর ভদ্রতা, দৃঢ়তা ও ত্যাগ তাঁকে করে তুলেছে অনন্য।
প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়া—এই দুই ব্যক্তিত্বকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রবের সঙ্গে স্মরণ করি। কোটি কোটি মানুষ বিএনপি না করেও এই দুই নেতার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করে—এটি তাঁদের দীর্ঘ কর্মময় জীবনের ফসল।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বেগম খালেদা জিয়ার হায়াতে বারাকাহ দান করুন।
আমিন।