স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নির্দেশদাতা’ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (১ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ দাখিলের শুনানি শুরু হয়, যা সরাসরি সম্প্রচার করে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। খবর বিবিসির।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি ১৩৫ পৃষ্ঠার। এ ছাড়াও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, দালিলিক প্রমাণ, অডিও-ভিডিও কলসহ মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে।
অভিযুক্ত অন্য দুইজন হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে গত ১২ মে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সেদিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ‘বর্ষা বিপ্লব’ চলাকালে এক হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষের হত্যার দায়ভার শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়। তিনি আরও জানান, “তিন আসামির বিরুদ্ধেই নির্বিচারে হত্যার নির্দেশনা, প্ররোচনা ও উসকানিসহ পাঁচটি অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই বিচার কোনো প্রতিশোধ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিজ্ঞা—মানবতাবিরোধী অপরাধ আর কখনো মেনে নেওয়া হবে না।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের বর্ষা বিপ্লব বা মনসুন বিপ্লব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালটি গঠন করা হয়েছিল মূলত ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। আজ সেই ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো—যার সরকার একসময় এই আদালত প্রতিষ্ঠা করেছিল।