কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত পাঁচ উপজাতি ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ৩১ মে ২০২৫ তারিখে থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম শিফাতুল মাজদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মহিষেরবাম এলাকার পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা হলেন— পাইসুইচিং মারমা, মংক্যউ মারমা, উসিংমং মারমা, থুইসামং মারমা ও চসিং মারমা। তারা জানায়, ৩০ মে ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৩০ মিনিটে চন্দ্রঘোনা থানাধীন আমতলী পাড়া এলাকা থেকে বৃষ্টির পানিতে ব্যাঙ ধরতে বের হয়। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন লালারখিল এলাকায় পৌঁছালে রাত প্রায় ১১টা ৩০ মিনিটে ৫-৬ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের জিম্মি করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় এবং গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
পরদিন ৩১ মে সকাল ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমদের পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমদের হত্যার হুমকি দেয়। পরিবারের পক্ষ থেকে দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বিষয়টি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় জানানো হয়।
সংবাদ পাওয়ার পরপরই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিমদের অবস্থান সনাক্ত করে থানাধীন নারিশচা রাস্তা হয়ে বরখোলা মগপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে মহিষেরবাম এলাকার ত্রিপুরা সুন্দরী চিকনছড়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।