শিবালয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে  ভিজিডি কার্ডধারী উপকারভোগীদের হয়রানি : তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা দাবি

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম :
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় থাকা  ভিজিডি( ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কার্ডধারী উপকারভোগী বৈরী আবহাওয়ার ভিতর  চরম দুর্ভোগ ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। গত  ১ জুন রবিবার  সকাল ১০ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত  ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে ও বসা অবস্থায় অপেক্ষা করেও চাল পাননি আনুমানিক ২২৩জন উপকার ভোগী নারী। তাদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোন সহায়তা প্রদান না করে, তাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সচিব ও কিছু ইউপি সদস্য কতৃক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্হানীয়দের দাবি অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিরাজ এবং ইউপি সদস্য এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও মানবিকতা বিরোধী কর্মকাণ্ড
ভিজিডি উপকার ভোগী অসহায় হতদরিদ্র জনগণের প্রতি চরম অবহেলা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার পরিপন্থী।
স্হানীয়দের দাবিঃ ১. এ ঘটনার দ্রত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা হোক।
২. তদন্তে প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের ( বিশেষ করে সচিব মিরাজ এ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের) বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্হা গ্রহণ করা হোক। ৩. ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক। ৪. উপকার ভোগীদের প্রকৃত অধিকার ও সম্মান রক্ষায় দ্রুত কার্যকরী প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ১ং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, ১জুন বরিবার দেওয়ার ডেট ছিল মাল আনেতে পারে নাই দিতে পারে নাই। সায়েদুর মেম্বার বলছে এইভাবেই দিবো। আমাকে জানাই নাইকা, অন্য  মেম্বার কে জানাছে, তাছাড়া সায়েদুর মেম্বার ১০ ঘটিকার  আগে কারো ফোন ধরেন না এবং সন্ধ্যার পরে ফোন ধরেন না। এভাবেই অনেক তালবাহানা কথা বলতে থাকেন।
এবিষয়ে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের চায়না মেম্বার বলেন,  ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিরাজ এর  নির্দেশনায় বরিবার ১জুন তারিখে ভিজিডি কার্ডের চাল নেওয়া আসা  প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে উপকার ভোগী নারীরা  হয়রানি মুলে  সচিব।
 উপকার ভোগীরা এই  এবিষয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ সায়েদুর রহমান কে মুঠো ফোনে একাধিক বার  ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে সচিব মিরাজ কে ফোন করলে তিনি বলেন, রবিবারেই দেওয়ার ডেট ছিল   সোমবারে দেওয়া কথা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হয়তো ভুলে গেছে। এভাবেই নানান তালবাহানা  করে নিজের দোষ লুকানো চেষ্টা করেন।
ঘটনার বিষয়ে শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  কর্মকর্তা বলেন,  ভিজিডি কার্ডের চাউল বিতরণ সময় শিমুলিয়া ইউনিয়নসহ ৩টি ইউনিয়নে সমবার ২জুনের কথা বলেছেন । এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা কে মুঠো ফোনে ফোন করলে মিটিং থাকার কথা বললেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *