স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, “টালবাহানা বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত সব রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের উচিত নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা।
মঙ্গলবার মিরপুর-১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, দোয়ারীপাড়া ও রূপনগরসহ কয়েকটি স্থানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কার ও অস্থিরতা নিয়ে কথা
আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে ‘ব্যর্থ’ আখ্যায় দিয়ে আমিনুল বলেন,
“আপনারা বলছেন সংস্কার করবেন, অথচ গত ১০ মাসে কোনো কার্যকর সংস্কার হয়নি। পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারও হয়নি। জনগণের কাঙ্ক্ষিত অধিকার এখনো অধরা।”
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর।
“আমরা আশা করেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দেবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে দেশে কোনো বিনিয়োগ আসছে না। এর মূল কারণ দেশের ভেতরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই। যা সম্ভব শুধুমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে।”
“নির্বাচনে টালবাহানা করছেন উপদেষ্টারা”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা, কিছু অবসরপ্রাপ্ত আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা এবং বিদেশি কুশীলবরা নির্বাচনের সময় পেছাতে চায়।
“তারা ক্ষমতার মোহে পড়ে গেছে। তবে দেশের মানুষ ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়, সিদ্ধান্ত নিতে চায় কে তাদের শাসন করবে।”
তিনি বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে দেশের অস্থিরতা দূর হবে না।
জনকল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার
আমিনুল হক বলেন,
“ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। আমরা সুশাসন, জবাবদিহিতা ও সমঅধিকারের সমাজ গড়তে চাই।”
বিকেলে তিনি পল্লবীতে অসুস্থ বিএনপি নেতা মো. হারুনকে দেখতে তার বাসায় যান। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।