খসরু মৃধা:
গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহত হাজারো মানুষের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্তে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এসব মামলায় অগণিত মানুষকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেক নির্দোষও রয়েছেন। ফলে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কার্যক্রমে সময় লাগছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন গাছা থানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আগে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করে ১৫-২০ জনকে আসামি করা হতো। এখন জনগণ নিজেরাই বাদী হয়ে মামলা করছে এবং আসামির সংখ্যা শত ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এতে নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার না হয়—সে বিষয়ে আমরা সচেতন। তদন্তে একটু দেরি হচ্ছে কারণ আমরা নিশ্চিত হতে চাই কে প্রকৃত অপরাধী।”
তিনি আরও জানান, জনগণের হয়রানি কমাতে এবং পুলিশ বিভাগের সংস্কারের অংশ হিসেবে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এতে থানায় না গিয়ে অনলাইনেই মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যাবে। একই সঙ্গে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ‘কাঁচের ঘর’ নির্মাণ করা হবে, যাতে তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে, তা বাহির থেকেই দেখা সম্ভব হবে।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। মামলা বাণিজ্যসহ যেকোনো দুর্নীতিতে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি যদি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তাহলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
এ সময় তার সঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খানসহ জিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।