মোঃ সোহেল:
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্তে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে চলমান অভিযানে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে (৫০,০০০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট) জব্দ করা হয়েছে।
অদ্য ১২ জুন ২০২৫ তারিখ ২ বিজিবির অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে অধিনায়ক ২ বিজিবি, নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি তার নেতৃত্বে টেকনাফ বিওপির একটি অভিযানদলের সহযোগিতায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে অপর একটি বিশেষ দলকে মাদক পারাপারের সম্ভাব্য এলাকায় ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরবর্তীতে, আনুমানিক ১০,০০ ঘটিকায় ০২ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্ত দিয়ে একটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় চুপিসারে মির্জাজোড়া নামক এলাকার দিকে অগ্রসর হতে দেখলে বিজিবি সদস্যরা অতর্কিতে অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করতে ধাওয়া করে।
এ সময়, বিজিবির গতিবিধি আঁচ করতে পেরে মাদক পাচারকারীরা দ্রুত জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে তাদের নৌকাটি ডুবিয়ে দিয়ে পানিতে ঝাপ দেয় এবং সাঁতার কেটে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায় বলে জানান বিজিবি । পরে উক্ত এলাকাকে ঘিরে রেখে মাদক ও পলায়নরত অপরাধীদেরকে ধরতে বিজিবির অভিযান দলটি দীর্ঘ সময় তল্লাশী চালায়। অবশেষে, কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে অভিনব পন্থায় পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় দুটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষভাবে মোড়কজাত অবস্থায় ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করা সম্ভব হলেও মাদক বহনকারী ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে ০৮ জুন ২০২৫ তারিখ টেকনাফ পৌরসভার আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এলাকার সন্নিকটে (২ বিজিবি) থেকে একটি বিশেষ অভিযানিক দলকে উল্লেখিত এলাকায় মোতায়েন করেন। তার নির্দেশনায় দলটি অতি দ্রুত এবং অত্যন্ত সুনিপুণভাবে অভিযান পরিচালনা করে পল্লান পাড়ার জাফর আলীর পুত্র জিয়াউর রহমান (২৯), কে ৪,০০০ পিস অবৈধ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতেনাতে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকল প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান, লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি -অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)