মোঃ ইসলাম উদ্দিন তালুকদার :
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশইন করা ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করে মানবিক সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় তিনি ছাতক উপজেলার আমেরতল গ্রামের জাহান আরা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত অস্থায়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অবস্থানরত এসব নারী, পুরুষ ও শিশুদের খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি তাদের হাতে পরিধানের পোশাক, খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ তুলে দেন।
চারটি পরিবারের ১৭ সদস্য
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চারটি পরিবারের ৫ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৮ জন শিশু। এরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন এবং নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
বিজিবির উদ্ধার ও থানায় হস্তান্তর
১২ জুন দুপুরে ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াকোট বিওপি সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ এদের বাংলাদেশে পুশইন করে। সীমান্তে টহলরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে ছাতক থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা ও পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়।
নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, “বিজিবি দুপুরে ১৭ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। বিকেলে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, পুশইন হওয়া এসব নাগরিকের জন্য আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক প্রয়োজনীয়তা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তারা পুলিশের হেফাজতে নিরাপদে থাকবেন।
প্রশংসিত মানবিক উদ্যোগ
এই ঘটনার পর ইউএনও তরিকুল ইসলামের ত্বরিত ও মানবিক পদক্ষেপ স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাষ্ট্রের মানবিক ও দায়িত্বশীল উপস্থিতির প্রমাণ রাখে।