এটিএম মাজহারুল ইসলাম:
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ ছবি সম্বলিত মন্তব্য করায় ইন্দ্রজিৎ সাহা (২৪) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর মারধর করে চান্দিনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ সাহা কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা গ্রামের রামকৃষ্ণ সাহার ছেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মেহেদী হাসান সিয়াম এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটকের পুরো ঘটনাটি মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯ মে, যখন ‘এমডি. সিহাব (গফ ঝরযধন)’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে হিন্দু ধর্মের একটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার একটি রিলস ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওটির কমেন্টে ‘শিবা সাহা (Shiva Saha)’ নামক একটি আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও ছবি দেওয়া হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ফেসবুকে প্রতিবাদী পোস্ট ও বিচার দাবিতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তদন্ত করে ‘শিবা সাহা’ নামের আইডির প্রকৃত ব্যবহারকারী হিসেবে ইন্দ্রজিৎ সাহাকে শনাক্ত করে। প্রথমে তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েও তাকে না পেয়ে মহাসড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় তাকে আটক করে ছাত্ররা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, “ইসলাম ধর্ম এবং মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক ইন্দ্রজিৎ সাহাকে ছাত্রদের সহায়তায় আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”