স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর চট্টগ্রাম মেট্রো-২ অফিসে মালিকানা বদল শাখায় চলছে ভয়াবহ অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দৌরাত্ম্য। প্রাইভেট মালিকানা বদল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল মতিন সিন্ডিকেট গঠন করে অফিসের সকল কার্যক্রম এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মতিন পূর্বে পিরোজপুর ও যশোর বিআরটিএ অফিসেও একইভাবে একক কর্তৃত্ব চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিআরটিএ অফিসেও একই কৌশলে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন। চট্টগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত মোটরযান পরিদর্শকের কার্যক্রমও মূলত আব্দুল মতিন একাই পরিচালনা করছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যশোর ও পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসে মোটরযান পরিদর্শকের পদ শূন্য থাকার সুযোগে আব্দুল মতিন নিজেই সব দায়িত্ব পালন করতেন এবং কারো তোয়াক্কা করতেন না। কারণ, তার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাধর আত্মীয়—আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এডি হবিগঞ্জ আব্দুর রশিদ, যিনি তার চাচা বলে দাবি করেন।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আব্দুল মতিন তার প্রভাব খাটিয়ে চাকরি ও বদলির নামে তদবির বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ইচ্ছেমতো ভালো জায়গায় বদলি করিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ঘুষের বিনিময়ে ঢাকাসহ যশোর ও চট্টগ্রামে গড়ে তুলেছেন একাধিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিআরটিএ-তে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণকে নানা অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে। কেউ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুল মতিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার অনেকাংশই স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক এ বিষয়ে অনুসন্ধানমূলক একাধিক প্রতিবেদন তৈরি করছেন। ধারাবাহিকভাবে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে আগামী সংখ্যাগুলোতে।