আওয়ামী লীগ নেতা মশিউরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কায়দায় জায়গা দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ বনশ্রী, ওয়ার্ড-২, ব্লক-সি, বাসা নম্বর ২২৫/ক এলাকার একটি জমি দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল মোঃ মশিউর রহমানের (৫৫) বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর দাবি, প্রায় ১৪ বছর ধরে মশিউর রহমান ও তার সহযোগীরা জমিটি জোর করে দখলে রেখে ভাড়া উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “আমি ক্রয়সূত্রে এবং বৈধ কাগজপত্র অনুযায়ী উক্ত জমির মালিক। দীর্ঘদিন ধরে জমিটি দখলমুক্ত করার চেষ্টা করলেও প্রভাবশালী চক্রের কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমার জায়গায় গড়া স্থাপনার ভাড়া চাইতে গেলে ভাড়াটিয়ারা জানায়, প্রতি মাসের ভাড়া মশিউর রহমানের নির্দেশে তার লোকজন নিয়ে যায়।”

তিনি আরও জানান, “গত ৪ জুন ২০২৫ তারিখে সকাল আনুমানিক সাড়ে বারোটায় আমি জমিতে গেলে মশিউর রহমান, সোলাইমান হোসাইনসহ কয়েকজন আসে এবং আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তারা জানায়, আমাকে প্রতি মাসে ভাড়ার টাকা তাদেরই দিতে হবে, অন্যথায় কোনো কাজ করতে চাইলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মশিউর রহমান প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।”

ভূক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, জমিটি দখলে রাখতে মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করছে, যাদের মধ্যে রিনী পারভীন (৪৮), সোলাইমান হোসাইন (৪৫), রফিক (৪০), ও বেলায়েত হোসেন (৫৮) অন্যতম। এই চক্রটি ভূঁয়া দলিল প্রস্তুত করে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমিটি জবরদখলে রেখেছে বলে দাবি করেন রেজাউল ইসলাম।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান বলেন, “এই জমি কে. এম. গোলাম কবিরের ছিল। আমরা তার তৃতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ কাঠা জায়গা কিনেছি এবং ওয়ারিশদের কাছ থেকেও কিছু জায়গা নিয়েছি। আমাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।”

এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে চাপা ক্ষোভ এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জমি উদ্ধারে হস্তক্ষেপ এবং নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *