নিজস্ব প্রতিবেদন :
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার একটি ভিডিও বক্তব্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায় ‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভিডিওটির খণ্ডিত অংশ প্রচার করে একটি কুচক্রী মহল তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া বলেন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে স্থানীয় কিছু সমস্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি দলীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন। তবে পুরো বক্তব্য ৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডের হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাত্র ২১ সেকেন্ডের একটি খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি তার।
ইদ্রিস মিয়া বলেন, “আমি চট্টগ্রামের ভাষায় সহজভাবে বোঝাতে চেয়েছি, স্থানীয় প্রশাসনকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হবে। এটি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য ছিল না। বরং আমি সবসময় প্রশাসনবান্ধব কাজ করেছি।”
মুলত স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমার কাছে অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় ইউএনও-ওসি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো দাবি-দাওয়া ও অভিযোগ শোনেন না। তারা শোনেন জামায়াতের কথা। তাই ওই দিন আমি নেতাকর্মীদের বলেছিলাম, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ রাখা যাবে না, দলের স্বার্থে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্থানীয় প্রশাসন অবশ্যই আমাদের অভিযোগগুলো গুরুত্ব দেবে। মূলত আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ও কুচক্রী মহল মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। ১৭ বছর জনপ্রতিনিধি ছিলাম, কেউ বলতে পারবেনা কোনো দুর্নীতি করেছি।
ঘটনার সুত্রপাত, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া
গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।