টাঙ্গাইল জেলার এডি মাহতাব উদ্দিন টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না

স্টাফ রিপোর্টার:

টাঙ্গাইল জেলার বিআরটিএ অফিসে দালালের মাধ্যমে ঘুষ ছাড়া সেবা মেলে না। সেবাগ্রহীতাদের জিম্মি করে ঘুষ আদায় করে একটি দালাল চক্র। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় সময় অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে বিভিন্ন সময় একাধিক দালালদের আটক করে সাজা প্রদান করা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা। চাকরি যাওয়ার ভয়ে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে সরাসরি ঘুষ নেয় না। ঘুষ নেয় দালালদের মাধ্যমে।

এখানে বলে রাখা ভালো—দালালদের টাকা দিলে পরীক্ষা ছাড়াই অথবা নামমাত্র পরীক্ষায় যদি পাশ দেওয়া হয় তাহলে কী বোঝা যায়? পাশ অথবা ফেল করানো তো দালালরা পারে না। পাশ অথবা ফেল দেখাতে অবশ্যই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজন।

দালালদের মাধ্যমে টাকা দিলেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের নতুন আবেদন কিংবা রিনিউ-এর আবেদন যাই হোক না কেন, তাদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। আর দালালদের টাকা না দিলে তাদের দেখানো হয় ফেল।

টাঙ্গাইল জেলার বিআরটিএ এডি মাহতাব উদ্দিনের ইশারায় চলে নতুন ড্রাইভার পরীক্ষার্থী পাশ অথবা ফেল। ফিটনেস, রোড পারমিট, মালিকানা বদলি ও লাইসেন্স—সব কিছুই একা তদারকি করেন এই এডি মাহতাব উদ্দিন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, “দুই বার ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরেও আমাকে ফেল দেখানো হয়েছে কারণ আমি দালালদের টাকা ঘুষ দিইনি। সামনে আবার পরীক্ষার নতুন তারিখ নিয়েছি, কী হবে আল্লাহ ভালো জানেন।”

মালিকানা বদলি করার জন্য একাধিক ব্যক্তি বারবার ঘুরে কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঘুষের বিনিময়ে মালিকানা বদলি করান। সবচেয়ে বেশি টাকা লুট করছে ফিটনেস ও রোড পারমিট দিয়ে।

ভুক্তভোগীরা বলেন, “ঘুষ না দিলে দীর্ঘদিন ঘুরতে হয়, তাই বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে কাজ করাই।”

এ বিষয়ে বরিশাল জেলার বানারিপাড়ার বাসিন্দা এডি মাহতাব উদ্দিন বলেন, “কাজ করতে গেলে ভালো-মন্দ হবেই। আপনারা আমার অফিসে আসেন, কথা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *