মোঃ রেজাউল করিমঃ
বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি। এতে যেমন সাধারণ পরিবহন মালিক ও চালকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তেমনি প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই মহাসড়কে নিয়মিতভাবে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানি থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে আলিফ পরিবহন থেকে প্রতিদিন আদায় করা হয় ১,০০০ টাকা, এয়ারপোর্ট পরিবহন থেকে ৫০০ টাকা, কিরন মালা পরিবহন থেকে ৫০০ টাকা, এবং বিকাশ পরিবহন থেকে ৫০০ টাকা।
চাঁদাবাজির এই অর্থ কোথায় যাচ্ছে এবং কারা এর সাথে জড়িত — তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এ চাঁদাবাজির সাথে সরাসরি যুক্ত। চালক ও পরিবহন মালিকরা মুখ খুলতে ভয় পান প্রতিশোধের আশঙ্কায়।
একজন পরিবহন চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“প্রতিদিন চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না। যারা বাধা দেয়, তাদের হয়রানি করা হয়, মামলা দেওয়া হয় বা মারধর করা হয়। আমরা মরে বাঁচি, তবুও কিছু বলি না।”
এই চাঁদাবাজির ফলে পরিবহন খাতে ভাড়া বেড়ে যাওয়া, যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তি, পরিবহন সেক্টরের অস্থিরতা— এসবই বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও কঠোর নজরদারির দাবি উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের কেউই মুখ খুলতে চাননি। পর্ব-১