স্টাফ রিপোর্টার:
যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট তারেকের বিরুদ্ধে ঘুষ, মাসোহারা ও অবৈধ সিএনজি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বাস, ট্রাক ও পিকআপ চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করছেন। এমনকি কোনো গাড়ি ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটকা পড়লে চালকেরা তারেককে ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন একাধিক গাড়িচালক।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সার্জেন্ট তারেক নিজেই অসংখ্য সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক। সম্প্রতি মিরপুরে ঢাকা মেট্টো-থ ১৩-৩৩৯৪ নম্বরের এক সিএনজির চালক সরাসরি বলেন, “এই গাড়িটি সার্জেন্ট তারেকের, তার আরও অনেক সিএনজি আছে।”
এই বিষয়ে সার্জেন্ট তারেকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি উল্টো সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেন, “আমার ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার অথবা আইজি সাহেবকে জিজ্ঞেস করেন।” পরে তিনি আবার ফোন করে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেন।
সাংবাদিক জানিয়েছেন, সার্জেন্ট তারেকের সঙ্গে পুরো কথোপকথন কল রেকর্ড করা আছে এবং তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার আশঙ্কা, যেকোনো সময় তিনি হামলা অথবা মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হতে পারেন।
বিষয়টি ইতিমধ্যে ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিক ডিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক মহল ও সচেতন নাগরিকরা।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পুরনো শাসনামলের মতো কি বর্তমানেও পুলিশের ভেতরে দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য চলতেই থাকবে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।